খায়রুল আলম রফিক,কক্সবাজার থেকে ফিরে !! কিছুতেই থামছে না কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারের ব্যবসা। আড়াই বছর আগ থেকে কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকা টেকনাফসহ জেলার সর্বত্র এসব বন্ধে অভিযান শুরু করে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একের পর এক অভিযানে ইয়াবা কারবারিদের অনেকেই গা ঢাকা দেয়, আবার অনেকের মৃত্যু হয় বন্দুকযুদ্ধে। কিন্তু এতোকিছুর পরও কক্সবাজারে মাদক তথা ইয়াবা পাচার থেমে যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ,পুলিশ পরিদর্শক ইয়াসিন,এসআই আরিফদের মতো অসাধু ব্যক্তিদের জন্য এখনও ইয়াবার গডফাদাররা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, যার ফলেই বন্ধ হচ্ছে না এই ব্যবসা।
গত আড়াই বছরে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই লিয়াকত আলীর,পুলিশ পরিদর্শক ইয়াছিন,এসআই আরিফের হাতেই ১৪৪টি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর পাশাপাশি দুই দফায় ১২৩ জন ইয়াবাকারবারী আত্মসমর্পণও করেছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেছে নেয়া হয়েছে পর্যটনের সম্ভাবনাময়ী মেরিন ড্রাইভ রোডকে। সেই মেরিন ড্রাইভ রোডেই গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহতের পর ওসি প্রদীপের এইসব গৃহীত কর্মকাণ্ড নিয়েও নানান প্রশ্ন এখন সামনে চলে এসেছে। ইয়াবা নির্মূলের নামে টেকনাফ পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধ ও হীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার ইসলাম নয়নের বাহিনীর অনৈতিক বাণিজ্যের বিষয়ও বের হয়ে আসতে শুরু করেছে।
কক্সবাজারের হাজী এনামুল তরফদার জানান, প্রশাসনের সব বাহিনীকে নিয়ে একটি জোড় অভিযান চালানো উচিৎ এবং তাদেরকে ক্রসফায়ার না দিয়ে কঠোর আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নামে যারা শুধু ইয়াবা ব্যবসা করে শুধু তাদের গ্রেপ্তার করা হয়, কিন্তু যারা গডফাদার ইয়াবা ব্যবসার মূল কারবারি তারা বার বার আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায়। তারা আরও জানান, ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে, কিন্তু এর মধ্যে গোপনে ৬০ থেকে ৭০ জন জামিনে বের হয়ে এসেছে। রাজনৈতিক নেতাদের এবং পুলিশের মধ্যে যদি সত্যিকারের দেশপ্রেম থাকে তাহলে দেশে কখনও মাদক ঢোকতে পারে বলে তারা জানান। ইয়াবা ব্যবসা নির্মূলে সব বাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালনা এবং গডফাদারদের গ্রেপ্তারসহ তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত কারার পরামর্শ দেন তিনি।
কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক জানান, আমাদের সবার সম্বলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এলাকার জন প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতার মাধ্যমে এই ভয়াবহ মাদক চির বিদায় নেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক পাচার রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন এই সংসদ সদস্য।
- কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা জানান, যারা ইয়াবা ব্যবসা করে অবৈধভাবে অনেক টাকার মালিক হয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যদি এই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হতো তা হলে অন্যান্য ইয়াবা ব্যবসায়ীরা দূরে চলে যেতো।
এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সর্বশেষ তালিকায় কক্সবাজারে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা ১ হাজার ২৫০ জন। এর মধ্যে শুধু টেকনাফেই রয়েছে ৯১২ জন
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত