নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল সদর উপজেলার ২নং কাশিুপুর ইউনিয়নের কলস গ্রামে রাতের আঁধারে খালে কীটনাশক (বিষ) প্রয়োগ করে অবাধে মাছ শিকার করছেন একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র। এতে ধ্বংস হচ্ছে লাখ লাখ রেণু পোনাসহ দেশীও মাছ।
আশঙ্কাজনকভাবে মাছের বংশ বিস্তার নষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র উপজেলার বিভিন্ন খালের পানিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছেন। কীটনাশক দেওয়ার পর মাছ মরে পানিতে ভেসে ওঠে এবং অল্প সময়ে সব মাছ ধরা যায়। কিন্তু এভাবে মাছ শিকারের ফলে রেণু পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হচ্ছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার ২নং কাশিপুর ইউনিয়নরে ১নং ওয়ার্ডে কলস গ্রামে খালে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটে। ছয়মাইল বাজার থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালে মরা মাছ দেখা যায়। যদিও এদিন দুর্বৃত্তরা মাছ ধরে নিয়ে যেতে পারেনি। পরে সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে পড়ে বিষয়টি। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় যে কয়টি খাল আছে। আর এসব খালের অধিকাংশেরই স্লুইচ গেট রয়েছে। খালগুলো এভাবে আটকা থাকায় চিংড়ি মাছের বংশ বিস্তার হয় বেশি। অনেক সময় খালে পানি কম থাকায় অসাধু চক্র কীটনাশক প্রয়োগ করে রাতে মাছ শিকার করছে। সূত্রে আরও জানা যায়, ছয়মাইল খালেই বিষ ঢেলে এ মৌসুমের কোনো না কোনো সময়ে এভাবে মৎস্য সম্পদের ক্ষতি করছে এ অসাধু চক্র। ২নং কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ নাছিম শরীফ জানান, খালে রাতে দুর্বৃত্তরা বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ শিকার করেছে বলে তিনি স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তবে প্রতিবছর এ ধরনের ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। তিনি আরও জানান, শুধু এখানেই নয় উপজেলার বিভিন্ন খালে রাতে বিষ ঢেলে মাছ শিকার করে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র। সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এক শ্রেনীর অসাধু লোক খালের পানিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে এ কথা সত্যি। এতে রেণু পোনাসহ দেশীও মাছ ধ্বংস হচ্ছে। এদেরকে ধরতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
‘‘দোষ-ত্রুটি ভুলে যাওয়ার পরেও যারা সংশোধন হচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ : হাসান মামুন’
প্রতিষ্ঠাতা: মোঃ রিয়াদ হোসাইন , গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি !! ‘বিগত সরকারের......বিস্তারিত