নিজস্ব প্রতিবেদক>>
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ মাদক নির্মূলে কঠোর অবস্থান নিলেও সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াবার সাথে সাথে বেড়েছে গাঁজা কেনাবেচা। তাছাড়া মাদক ব্যবসায়ীরা নিত্য নতুন কৌশলে মাদক বেচাকেনা করছে।
এমনকি মৃত ব্যক্তির কফিনের মধ্যে মাদক পাচার করছে তারা। ইদানিং মাদক কারবারীরা এ কাজে নারী ও শিশুদের ব্যবহার করছে। অপরদিকে মাদক সেবনকারীরা এখন গাঁজা চাষের দিকে ঝুঁকছে বলে জানা যায়। তবে পুলিশী তৎপরতায় ধরাও পড়ছে মাদক ব্যবাসয়ীরা।
দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, মাদকের সাথে কোন ধরণের আপোষ নয়। মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান আইজিপি’র জিরো টলারেন্স নীতিতেই কাজ করছেন তারা। এক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করছেন তারা।
গত ২০ জুলাই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যাওয়া পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের নলী তুলতলা গ্রামের আব্দুল হালিম (৭০)’র মরদেহ নেয়ার জন্য আনা কফিন বাক্স থেকে ২১ পোটলা গাঁজা উদ্ধার করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
৮ সেপ্টেম্বর নগরীর নৌবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ জান্নাত আক্তার (২৩) নামের এক তরুণীসহ দুই সহযোগিকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ডিবি পুলিশ জানায়,
তরুণীসহ তিনজন লহ্মীপুর থেকে নদীপথে বরিশালে মাদক নিয়ে আসছেন এমন খবরের ভিত্তিতে ওই তরুণীকে ২ সহযোগীসহ গ্রেপ্তারের পরে তাদের সাথে থাকা একটি স্কুলব্যাগে তল্লাশি করে ৬ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। এছাড়া আটককৃত তরুনীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর নগরীর রসুলপুর বস্তিতে অভিযান চালিয়ে ১২ কেজি গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা পলাশ ও লিপি নামে এক দম্পতিকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
২৯ সেপ্টেম্বর নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের জর্ডন রোড এলাকায় “জলিসা সৈয়দ ভিলা” নামক একটি ফ্লাট বাসায় অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ইন্দ্রকুল গ্রামের মোঃ আলমগীর মীরের ছেলে মোঃ ফরহাদ মীর (৩০)কে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গত শনিবার (১০ অক্টোবর) বিএমপি’র এয়ারপোর্ট থানা এলাকার রহমতপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ৯শ’ গ্রাম গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন জেলার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউপি মধ্য কেশবকাঠী গ্রামের মৃত মন্নান বেপরীর ছেলে মোঃ নজরুল বেপারী (৩৮) ও একই এলাকার মোঃ রুস্তুম হাওলাদারের ছেলে মোঃ রাসেল হাওলাদার(২৩)।
অপরদিকে গত মাসে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের অভিযানে একাধিক গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ মনজুর রহমান (পিপিএম-বার) জানিয়েছেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে তারা অভিযান পরিচালনা করছেন। তিনি বলেন, যখন যে ধরণের মাদক সামনে আসে আমরা সেটাকেই ধরছি।
তবে মাদক নির্মূলে ইতিমধ্যে বিভিন্ন বস্তি এলাকায় তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে, স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার) বলেন, বরিশাল নগরী থেকে মাদক নির্মূলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্টে যদি কেউ পজিটিভ হয় তাহলে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না বলেন তিনি।
তাছাড়া মাদক নির্মূলে ইতোমধ্যে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে প্রতিটি থানায় ওপেন হাউজ ডে, প্রতিটি পাড়া মহল্লায় বিট পুলিশিং/কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম, স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিমাসে কাউন্সিলিং করাসহ নানান পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে প্রত্যেক অভিভাবক, সচেতন নাগরিক, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্যসহ সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
‘‘দোষ-ত্রুটি ভুলে যাওয়ার পরেও যারা সংশোধন হচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ : হাসান মামুন’
প্রতিষ্ঠাতা: মোঃ রিয়াদ হোসাইন , গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি !! ‘বিগত সরকারের......বিস্তারিত