রিয়াদ হোসাইন,গলাচিপ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় মানসুরা আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে ভাই মো. শামিমকে (২৩) মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার উত্তর চরখালী গ্রামে। মানসুরা ওই গ্রামের বশির ফকিরের মেয়ে ও উত্তর চরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। মারধরের শিকার শামিম মানসুরার আপন বড় ভাই। এ ঘটনায় মানসুরার বাবা মো. বশির ফকির (৫০) শুক্রবার সন্ধ্যায় আরিফ ফকির (২২), মোহন ফকির (৫৫), শাখাওয়াত ফকির (২২) ও শাহজালাল ফকিরের (৫৮) বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা একই বাড়ির লোকজন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর চরখালী গ্রামের উত্ত্যক্তের শিকার মানসুরার বাবা বশির ফকির ও উত্ত্যক্তকারী আরিফ ফকিরের বাবা একই বাড়িতে বসবাস করেন। আগে থেকেই স্কুলে যাওয়া আসার পথে ও বাড়ির পাশে একা পেলেই মানসুরাকে আরিফ উত্ত্যক্ত করত। বোনের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করলে শামিমকে আরিফ দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। গত বৃহস্পতিবার শামিম মানসুরার স্কুলের অ্যাসাইনমেন্টের পেপার জমা দিতে গেলে উত্তর চরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে সড়কে পৌঁছলে তাকে আরিফ, মোহন, শাখাওয়াত ও শাহজালাল এলোপাথারী মারধর করে। এতে শামিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম হয়। শামিমের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পড়লে মারধরকারীরা তাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে বশির ফকির বলেন, ‘আমার মেয়েকে আরিফ প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। আমার ছেলে শামিম এর প্রতিবাদ করায় ওরা তাকে মেরেছে। আমি প্রশাসনের কাছে ওদের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহন ফকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুনছি পরশু (বৃহস্পতিবার) আমার ছেলে আরিফের সাথে শামিমের একটি ঝামেলা হইছে। কি লইয়া ঝামেলা হইছে তা আমি জানি না।’
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজ (শনিবার) এসআই কবির ঘটনাস্থলে তদন্তে যাবেন। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘এমপি আনার হত্যা: ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে’
প্রতিষ্ঠাতা: প্রহর ডেস্ক ।। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়......বিস্তারিত