মাহমুদুল হাসান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
বঙ্গপসাগরে দুই ট্রলার ডুবির পাঁচ দিন পরেও নিখোঁজ রবিউলের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের উত্তর কাজী কান্দা গ্রামের ইলিয়াস মৃর্ধা (বর্তমান ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বারের) মালিকানাধীন এফ,বি মুনিয়া গত শুক্রবার দুপুর ১২ টারদিকে হটাৎ ঝড়ের কবলে পরে ডুবে যায়। দক্ষিন কাজী কান্দা গ্রামের বশির ফরাজির (বর্তমান ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বারের) মালিকানাধীন এফ,বি জুবায়ের, খবর পেয়েছে এফবি মুনিয়া ডুবে গেছে ওই ট্রলারের জেলেদের উদ্ধার করতে গেলে বিকাল ৪ টারদিকে সেটিও ঝড়ের মুখে পরে ডুবে যায়। দুই ট্রলারের মাঝিমাল্লা সহ ২৮ জনকে উদ্ধার করেছে জেলেরা। আজ ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও নিখোঁজ এক জেলের খোজ মেলেনি। নিখোঁজ রবিউল এফ,বি মুনিয়া ট্রলারের ইঞ্জিন চালক হিসেবে কাজ করতেন।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, আমরা সাগরে জাল ফেলে সবাই বিশ্রামে গিয়েছিলাম। মোটামুটি সবার চোখেই ঘুম হটাৎ করে বড় এটটি দোমা ( ডেউ) এসে ট্রলারটি উল্টো করে দেয়। কেউ ট্রলারের উপরে আবার অনেকেই ট্রলারের কেবিনের মধ্যে ঘুমানো অবস্থায় ছিলো যখন আমাদের শরিরে পানি লাগার পরে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে কেবিনের দরজা আটকানো ছিলো ওই অবস্থায় সবাই আতংকে ছিলো যার যার মতো সবাই বাচাঁর চেষ্টা করে কেবিনের দরজা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে। ট্রলারটি ডোবার ১০ মিনিট কেউ আবার ২০মিনটি পরেও বেরিয়ে আসছে। রবিউল ও ইঞ্জিন রুমে ঘুমানো অবস্থায় ছিলো ট্রলারের সবাই বেরিয়ে আসলেও রবিউলকে বেরিয়ে আসতে দেখিনি আমরা। এখন রবিউল কোথায় কি অবস্থায় আছে আল্লাকপাক ভালো জানে।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কুয়াকাটা থেকে আনুমানিক ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকৃত ২৮ জন জেলের বাড়ি রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ওইদিন রাতে জেলেরা সবাই মহিপুর অবস্থান করে পরের দিন সবাই যার যার বাড়িতে চলে আসে।
নিখোঁজ রবিউল রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের উত্তর কাজিকান্দা গ্রামের রফিক হাওলাদারের বড় ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌডুবী ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার ইলিয়াস মৃধা।
জেলেরা জানান, হঠাৎ করে ঝড়ের কবলে পড়ে গভীর সাগরে ট্রলার দুটি ডুবে যায়। এ সময় পাশ্ববর্তী দুটি ট্রলারের ২৮ জেলেকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ হন রবিউল। ট্রলার ডুবির সময় রবিউল ইঞ্জিন রুমে থাকায় তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ওইদিন সন্ধ্যায় দুই ট্রলারের ২৮ জন জেলেদের উদ্ধার করে মহিপুর মৎস্য বন্দরে নিয়ে আসার পরেই নেমে আসে শোকের ছায়া। জেলেদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে মহিপুর মৎস্য বন্দর এলাকা।
এদিকে নিখোঁজ রবিউলের বাড়িতে এখনো দেখা গেছে শোকের ছায়া সংসারের বড় ছেলেকে হারিয়ে মায়ের আহা জানি (কান্নাকাটি) পরিবারের সকলেই আছে দুশ্চিন্তায়, মা বারবার ডাক চিৎকার দিয়ে বলেন বেঁচে আছেতো আমার সন্তান রবিউল। মায়ের আহা জানি আল্লাহ তুমি আমার সন্তানকে বাচিয়ে রাখো ,আমার কোলে ফিরিয়ে দাও আমার রবিউলকে। সান্ত¡না দেওয়ার মতো বুঝি কেউ নেই।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া জানান, উদ্ধারকৃত জেলেদের বাড়ি রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। ট্রলার দুটি উদ্ধার করে আনা হয়েছে তবে নিখোঁজ রবিউলের সন্ধান এখোনো পাওয়া যায়নি।
‘এমপি আনার হত্যা: ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে’
প্রতিষ্ঠাতা: প্রহর ডেস্ক ।। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়......বিস্তারিত