আল-আমিনঃ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-৩ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মোঃ সাফায়েত হোসেন সজীব ইতোমধ্যে আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন। দলের সবুজ সঙ্কেত পেতে অব্যাহত চেষ্টা চলছে তার। কেন্দ্রের নেতাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছেন, ঠিক তেমনি করেই তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সর্বন্তরের জনতার সাথে মতবিনিময় ও গনসংযোগ করছেন। এমন কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের পাশাপাশি ব্যক্তিগত রাজনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছেন তরুন এই নেতা।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মোঃ সাফায়েত হোসেন সজীব। বাবুগঞ্জ-মুলাদী উপজেলায় বর্তমানে কোথা না কোথাও অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যাচ্ছে তরুন নেতা এ্যাডভোকেট মোঃ সাফায়েত হোসেন সজীবকে। ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে বরাবরই তার দানের হাত লম্বা বলে এসময় চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ঠদের কাছে ইতোমধেই তিনি দানবীর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে চলেছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও চলেছে তার প্রচার সগৌরবে।
ধারাবাহিক গনসংযোগের অংশ হিসেবে গতকাল সারাদিন বাবুগঞ্জ উপজেলা রহমতপুর বাজার, বাবুগঞ্জ বাজার,বাবুগঞ্জ কলেজ গেটসহ উপজেলা বিভিন্ন জায়গায় গনসংযোগ করেন।
জানা গেছে, এ্যাডভোকেট সাফায়েত হোসেন সজীব ১৯৭৮ সালে ৪ এপ্রিল, বরিশাল জেলার মুলাদী থানার কাজিরচর গ্রামে সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মো. সরোয়ার হোসেন, মাতার নাম রেনু বেগম। তার পরিবাবের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি সাথে জরিয়ে। ছোটবেলা থেকে তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, ভদ্র ও মানবদরদী। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন-এর নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সদস্য বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ, সাবেক এ্যাসিস্টান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর, সাবেক সহ-সভাপতি বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ,কেন্দ্রীয় কমিটি। সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য, ঢাকা কলেজ। ছাত্রজীবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। তাছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বার এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিম বলেন, তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত, সাদা মনের মানুষ। আমরা যখন তখন তাঁর কাছে নিজেদের দাবী-দাওয়ার কথা জানাতে পারবো। তিনি নমিনেশন পেলে আমাদের মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করবো এবং তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।
খানপুরার বাসিন্দা রুবেল জানান, এ্যাডভোকেট মোঃ সাফায়েত হোসেন সজীব ভাই তরুন নেতা। আমরা চাই এই আসনে তরুন নেতা আসুক। তাহলে এলাকার রাস্তাঘাটগুলো পাকা করার ব্যবস্থা ও উন্নয়ন হবে। আমাদের দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সজীব ভাইকে মনোনয়ন দেবে।
গনসংযোগ কালে এ্যাডভোকেট মোঃ সাফায়েত হোসেন সজীব বলেন, বাবুগঞ্জ-মুলাদী বাসীর বিপদে আপদে পাশে দাড়িয়েছি এবং বিভিন্ন রকমের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছি। আমি মৌসুমি নেতা না, যে শুধু নির্বাচনের সময় জনগনের পাশে যাবো,খোজ-খবর নিবো। শত বিপদেও আমি রাজনীতি থেকে পিছপা হইনি। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে যে ডিজিটাল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে স্মার্ট মেধাবী দক্ষ নেতৃত্বই নিয়ে আসবে বলে আমি মনে করি।
এই জন্য আমি শতভাগ বিশ্বাসী আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবে। আমি শাসক না, সেবক হতে চাই। বড় দল হওয়ায় এই আসনে আরও দু-পাঁচজন মনোনয়ন চাইতে পারেন। কিন্তু আমি তরুন সর্বন্তরের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের চাওয়া এই এলাকার গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করার জন্য আমাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করা হোক। আমি তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। নির্বাচনী এলাকার অসহায় ও দুস্থদের পাশে থেকেছি সবসময়। আমার বিশ্বাস, আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন এবং দলীয় সিদ্ধান্ত আমার পক্ষেই থাকবে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট মোঃ সাফায়েত হোসেন সজীব বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার রোল মডেল। তাই সস্ম্রার্ট বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। আমি আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দখিনবঙ্গর রাজনীতির অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমাকে নমিনেশন দেবে।