মাহমুদুল হাসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের নিচকাটা গ্রামের মনির হাওলাদারের মেয়েকে শাকিল সরদারের (৩০) কাছে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় মেয়ের বাবাকে পিটিয়ে জখম করেছে ওই যুবক।
বর্তমানে ওই পিতা মনির হাওলাদার (৩৬) শরীরের যন্ত্রনা নিয়ে কলাপাড়া হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এ ঘটনা ঘটে উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের নীচকাটা স্লুইস বাজার এলাকায়।
স্থানীয়রা জানন, শাকিল মৌডুবী ইউনিয়নের দক্ষিন কাজি কান্দা (মাঝির হাওলা) গ্রামের নুর ছায়েদ সরদারের ছেলে। শাকিল এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছে। তার একটি স্ত্রী এখনো শাকিলের বাবার বাড়িতে আছে। তার পরেও সেই ছেলে মনিরের মেয়েকে জোর করে বিয়ে করতে চায়। মনির মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে বেধরক পিটিয়ে জখম করেছে ওই শাকিল। শাকিল সবসময় মদ,গাজাঁ,ইয়াবা খেয়ে নেশাগ্রহস্ত অবস্থায় থাকে এবং রাস্তা ঘাটে মেয়েদের ডিস্টাব করে থাকে। আমাদের দাবি শাকিলকে আইনেরআওতায় এনে বিচার করা হোক।
যন্ত্রনাকাতর শরীর নিয়ে মনির জানান, নীচকাটা এলাকার এক সন্তানের জনক শাকিল সরদার (৩০) তার মেয়েকে(১৬) বিয়ে করার জন্য দুসম্পর্কের আতœীয় রিয়াজের কাছে প্রস্তাব দেয়। পরে রিয়াজ বিষয়টি মনির হাওলাদারকে জানালে সে তার মেয়েকে বিয়ে দিতে অস্বীকার জানায় এবং বিষয়টি শাকিলের পিতা নুর ছায়েদ সরদারকে জানায়। এতে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরের বাড়িতে গিয়ে গালাগাল করে এবং মারধরের হুমকি দেয়। পরে নিচকাটা এলাকার শহিদুলের চায়ের দোকানের সামনে বসে পিটিয়ে জখম করে। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওই এলাকার এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মনিরের ভায়রা ভাই ইলিয়াছ জানান, নীচকাটা স্লুইসে বসে আমার ভায়রা সহ চার জন লুডু খেলতেছিলাম। এসময় শাকিল তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। গতকাল আমার ভায়রার বাড়িতে এসে শাকিল গালমন্দ করার পর আমরা বিষয়টি ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বশির মিয়াকে জানাই। কিন্তু তিনি বিষয়টি শোনার পরও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারনে আজ এই ঘটনা ঘটেছে। আমার ভায়রাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে বশির মেম্বার সে বাঁধা দিয়েছে।
এ বিষয়ে শাকিল সরদার জানান, আমার নামে তারা মিথ্যা রটিয়েছে। আমি তার মেয়েকে বিয়ে করার জন্য কোন প্রস্তাব দেইনি। আমি বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে তাদের বাড়িতে গেলে তাদের পরিবারের সবাই আমার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। আমার নামে মিথ্যা রটানোর কারনে আমি মনিরকে কয়েকটা বাড়ি (পিটান) দিয়েছি।
মৌডুবী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বশির ফরাজী জানান, আমাকে জানানোর পর শালিস বৈঠকে বসার তারিখ দিয়েছিলাম। তার আগে শাকিল মনিরকে মারধর করেছে। আমি মনিরকে হাসপাতালে যেতে বাঁধা দেইনি।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
‘এমপি আনার হত্যা: ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে’
প্রতিষ্ঠাতা: প্রহর ডেস্ক ।। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়......বিস্তারিত