ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে–বাবুগঞ্জে এ্যাডঃ জয়নুল আবেদীন

আল-আমিন,বাবুগঞ্জ ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন শেখ হাসিনা সরকার এ দেশের মানুষের গণতন্ত্র অধিকার, ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার ধ্বংস করে পালিয়েছে। আওয়ামী লীগ সারাদেশে লুটপাটের রাজনীতি কায়েম করেছিল। ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ মা বোনের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

কিন্তু পূর্ণ স্বাধীনতা আমরা অর্জন করতে পারিনি। ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আওয়ামী লীগ দল ছারা বাংলাদেশে অন্য কোন দলের জায়গা ছিলো না। এর আগেও আমি বাবুগঞ্জে এসেছি কিন্তু কোথাও সমাবেশ করতে পারিনি। পুলিশ বলতো আপনারা তারাতারি চলে যান। আজকে সারা মাঠ রান্তাঘাট ভরে ফেলছেন, তার মানে হলো আপনারা পূর্ণ্য স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে আপনাদের। স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে।

রোববার বিকাল ৫ টায় বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, শেখ হাসিনার পেতাত্মারা দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। আমার কাছে খবর আছে এই বাবুগঞ্জে বিএনপি সহযোগী সংগঠনের মধ্য শেখ হাসিনার পেতাত্মারা ঢুকে স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে আবার দখলের চেষ্টা করতে চায়। এই সুযোগ আপনারা দেবেন না। তার কারন শেখ হাসিনা একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান ছিলেন।

তিনি দেশের সম্পদ লুট করে দেশের বাহিরে পাচার করে দিয়েছেন। আমি নিহত শহীদের বাড়িতে যাবার সময় দেখলাম রাস্তার কি অবস্থা। আপনাদের ভোট চুরি করে যে ব্যক্তি এমপি হয়েছেন সেই ব্যক্তি কোথাও এক টুকরো মাঠি ফেলে রাস্তাঘাট করতে পারে নাই। শেখ হাসিনা তার দলের লোকদের পেট ভারি করার জন্য ঢাকা থেকে কিছু মেগা প্রজেক্ট দিতেন। সেই মেগা প্রজেক্টের সব টাকা বাহিরে পাচার করে দিতেন তারা। দেশের ব্যাংক, বীমা খালি সব প্রতিষ্ঠান খালি। এই অবস্থায় বাংলাদেশকে রেখে পালিয়েছেন হাসিনা সরকার।

তিনি আরো বলেন পালিয়ে পাশের দেশ ভারতে গিয়ে সেখানে বসে এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের এখন এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

আমাদের এই ফ্যাসিবাদ সরকারের ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করে তারপর নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে। অন্তবব্রতী সরকারকে দেশ সংস্কার করার জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে। কিন্তু স্বাধীন ভাবে দেশের জনগন ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। কারন এ দেশের জনগনে ভোট দিতে পারে নাই।

বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সুলতান আহম্মেদ খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন দক্ষিন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান,সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী নজরুল ইসলাম, যুগ্না আহ্বায়ক আরিফুর রহমান শিমুল সিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান ফারুক, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, বরিশাল জেলা দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম তসলিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিঠু,সহ-সভাপতি সবুজ আকন, বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম সোহাগ, শ্রমিক দলের সাধারন সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সবুজ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিক আলামিন, সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত প্রমূখ।

এর আগে ছাত্র আন্দোলনে নিহত উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মহিষাদী গ্রামে মোঃ শান্ত ও মানিককাঠী গ্রামে রাকিবের কবর জিয়ারত করেন তিনি। আন্দোলনে নিহত ৩ জন শহিদ পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।