কিছুদিন আগে জাতীয় আয়-ব্যয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন চোখে পড়ল। চোখটা স্থির হল এক জায়গায় “জাতীয় আয়ে অবদান করেছ কৃষির”।আরো দেখলাম বর্তমান বিশ্বে কৃষিজমি ও বনভূমি হ্রাসে শীর্ষ দেশ ‘বাংলাদেশ’।সাথে সাথে এ.এস.পি ইমরান স্যারের একটি কথা মনে পড়ল।তিনি বলেছিলেন ‘তরুনরাই পারে কোন দেশকে উন্নতির শিখরে পৌছে দিতে’। আর বসে থাকতে পারলাম না, উঠে গিয়ে আমার দীর্ঘ ছয় বছরের জমানো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গবেষণা ও পরিকল্পনার ডায়েরীটা বের করে একটু চোখ বুঝলাম।আমার গবেষণার বিষয় ছিল বাংলাদেশের বনভূমির পরিমান কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়?যেখানে একটি দেশের বনভূমি থাকা দরকার ২৫ ভাগ সেখানে বাংলাদেশের রয়েছে মাত্র ১৭ ভাগ । আমি যেহেতু উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থীর ছিলাম সেহেতু আমার সুযোগ হয়েছিল, প্রতি বছর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ইস্কার্সন করতে। এই ইস্কার্সনের জন্য আমি আমার বিজ্ঞ স্যারদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই যে এই ইস্কার্সন আমাদের জন্য বাধ্যতামূলকর ছিল। আমাদের সম্মান ১মবর্ষে সুন্দরবন নিয়েছিলেন, ভাবনা ও গবেষণার শুরু সেই থেকেই। আস্তে আস্তে তা মোটামুটি কয়েকটি প্লানে ভাগ করি এবং তা সাথে সাথে ডায়েরিতে লিখে রাখতাম। আসলে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের্ দেশের মাটি যথেষ্ট উর্বর। আমরা যদি একটু ভিন্ন ধারায় চেষ্টা করি তবে আমরা পৌঁছাতে পারব একটি স্বপ্নের বাংলাদেশে। দিন দিন যে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মূল কারণ আমি মনে করি বনভূমির পরিমান কমে যাওয়া।যার ভয়াবহ দিক হল গ্রীন হাউজ ইফেক্ট অর্থাৎ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠ বেড়েই চলছে দিন দিন। এক সময় পৃথিবীর দক্ষিণ ভাগের অংশ সমুদ্রের গভীরে হারিয়ে যাবে। বাদ পড়বে না আমাদের এই সোনার বাংলাদেশও। আমরা যেখানে প্রতি সেকেন্ড অক্সিজেনের(O2)এর উপর নির্ভরশীল তাহলে কেন একটু ভাববোনা নিজেদের নিয়ে? এই দেশকে নিয়ে? তাই আমি বলতে চাই- আমাদের মাটিকে কাজে লাগিয়ে ও সুষ্ঠু পরিক্ল্পনা করে কৃষি ও বনভূমির পরিমান বৃদ্ধি করে দেশের জন্য অর্থনীতির সমৃদ্ধির জন্য একটু কাজ করতে পারি।আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বর্তমান দেশের এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের কিছু ভিন্ন ধারার চিন্তা ও ফর্মুলাকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে অর্থাৎ একটি মডেল বাংলাদেশে পরিনত করতে চাই। আমার বিশ্বাস একটু হলেও আমার দেশ উপকৃত হবে, আমার দেশের মানুষ উপকৃত হবে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ।সবশেষে বলতে চাই আমার লেখায় কোন ভুল হলে বা কষ্ট পেলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আর সাথে সাথে সবার কাছে আমি বিনীতভাবে দোয়া চাই আমি যেন দেশের একজন যোগ্য নাগরিক হতে পারি।
‘‘দোষ-ত্রুটি ভুলে যাওয়ার পরেও যারা সংশোধন হচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ : হাসান মামুন’
প্রতিষ্ঠাতা: মোঃ রিয়াদ হোসাইন , গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি !! ‘বিগত সরকারের......বিস্তারিত