ডেস্ক রিপোর্ট !! এস,এ গেমস কে সামনে রেখে চলমান এসএ গেমস প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে, কোচ ও ক্যাম্প কমান্ডারের দ্বন্দ্বে উশু ক্যাম্পে আতঙ্ক !
ব্যাডমিন্টনে প্রকাশ্যে এসেছে কোচ-খেলোয়াড় দ্বন্দ্ব। ভারোত্তোলনে নৈপুণ্য প্রদর্শনের পরও অন্যায়ভাবে দল থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জটিলতা আছে টেবিল টেনিসেও। এভাবেই চলছে বর্তমান এসএ গেমস প্রস্তুতি।
২০২০ ইং সালের ১ থেকে ১০ জানুয়ারি নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখরা শহরে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী এস,এ গেমস। নানা জটিলতা নিয়েই আছেন খেলোয়াড়রা। এ অবস্থায় গেমসে কতটুকু সাফল্য পাওয়া যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রমতে, বিকেএসপিতে চলমান উশু ক্যাম্পে কোচ শরিফুল ইসলামের অসংগতিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে ক্যাম্প কমান্ডার শাকিল বাবুল বাধা দেয়ায় দ্বন্দ্বের সূত্রপাত বলে জানাজায়। তা চরম আকার ধারণ করার পর ক্যাম্পে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এবিষয়ে ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়দের কাছে জানতে চাইলে, নাম গোপন রাখার শর্তে ক্যাম্পে থাকা এক খেলোয়াড় এসব তথ্য সংবাদকর্মীদের জানান। তার কথায়, ‘কোচের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক নয়। ক্যাম্প কমান্ডারের দায়িত্ব খেলোয়াড়দের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখভাল করা। কোচের মনগড়া কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদানের পরই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এখন অবশ্য সমস্যা অনেকটাই কেটে গেছে।’
ব্যাডমিন্টনে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছিল সমস্যা নিয়েই। দুই নারী শাটলার শাপলা আক্তার ও এলিনা সুলতানা কোচের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্যাম্পে যোগদানে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন।
ফেডারেশন সভাপতির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মাঝপথে এসে কোচের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছেলে শাটলাররাও। এছাড়া চলমান ক্যাম্পে নানা জটিলতা লেগেই আছে। এভাবে চলা প্রস্তুতির পর আদৌ সাফল্য পাওয়া সম্ভব কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ শাটলাররাই।
‘ট্রেনিং চলছে, আমরা এসএ গেমসের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি ঠিকই। প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রস্তুতি আমাদের চেয়ে ভালো হচ্ছে। এ অবস্থায় গেমসে কতটুকু কী করা যাবে, বলা কঠিন। গেমসে আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়েই দেশের জন্য লড়ব’—বলেন সর্বশেষ জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে ত্রিমুকুটজয়ী শাপলা আক্তার।
ভারোত্তোলন ক্যাম্প শুরুর পরই অভিযোগ তোলেন ২০১০ সালের এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী হামিদুল ইসলাম ও একাধিক সিনিয়র খেলোয়াড়।
তাদের অভিযোগ, ট্রায়ালে অন্যদের চেয়ে ভালো করার পরও ফেডারেশন কর্মকর্তারা আমাদের বাদ দিয়েছেন। এ সম্পর্কে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বর্তমান নৈপুণ্যর পাশাপাশি বাংলাদেশ ভারোত্তোলনের ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। এ কারণেই গেমসের ক্যাম্পে তরুণদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
টেবিল টেনিসে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) শর্ত পূরণ না করায় ডাক পাওয়ার পরও গেমসের ক্যাম্পে যোগ দেননি মানস চৌধুরী। অন্যরা যোগ দিলেও আবাসিক ক্যাম্পে থেকে অনুশীলনের শর্ত মানছেন না বলে অভিযোগ আছে।
এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে টেবিল টেনিস কোচ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিওএর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এসএ গেমসের সবকিছু। অনুশীলনের বিষয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা এড়িয়ে চলার কোনো সুযোগ নেই। তারা যেভাবে চান, আমাদের সেভাবেই চলতে হয়।’ যোগ করেন, ‘আমরা আসলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। একদিকে বিওএ কর্মকর্তাদের চাপ, অন্যদিকে নানা দাবি-দাওয়া।’
‘‘দোষ-ত্রুটি ভুলে যাওয়ার পরেও যারা সংশোধন হচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ : হাসান মামুন’
প্রতিষ্ঠাতা: মোঃ রিয়াদ হোসাইন , গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি !! ‘বিগত সরকারের......বিস্তারিত