বাউফল প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফলে অতিরিক্ত পাঠদানের নামে ব্যবসা কেন্দ্র খুলে বসেছেন অর্থলোভী শিক্ষকেরা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে বসত ঘরের আড়ালে চেয়ার টেবিলে সুসজ্জিত করে গড়ে তুলেছেন এসব ব্যবসা কেন্দ্র। আধো- আলো সকাল থেকে শুরু করে বেলা ১০টা, বিকাল থেকে শুরু করে রাতভর ঘণ্টাব্যাপী ব্যাচে ব্যাচে চলে তাদের পাঠদানের নামে অর্থ হাতানোর কাজ। প্রতি ব্যাচে অংশ নেয় ২৫-৪০ জন করে শিক্ষার্থী। জনপ্রতি নেওয়া হয় ৫’শ থেকে হাজার টাকা।
কিছু অতি উৎসাহী অভিভাবক ভালো ফলাফলের আশায় পা দিচ্ছেন শিক্ষার নামে এ প্রতারণার ফাঁদে। আবার কোন কোন অভিভাবক আর্থিক টানাপোড়েন থাকা সত্ত্বেও বাধ্য হচ্ছেন ফাঁদে পা দিতে।
বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, কোচিং’ই যদি শিক্ষা অর্জনের বড় মাধ্যম হয় তাহলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা না চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া ভালো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, কাক ডাকা ভোরে ঘর থেকে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে বের হয় উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়ে। যাতে করে সুযোগ হচ্ছে অনৈতিক সর্ম্পক’সহ নানান সামাজিক অপরাধে জড়ানোর।
বুধবার (২২জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কালাইয়া হায়াতুনেচ্ছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (র্ধম) মো. নুরে আলমের বন্দরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ২৫ থেকে ৩৫ জন (৬ষ্ঠ-১০ম) শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট টাকার বিনিময় পড়াচ্ছেন। একই চিত্র একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) রমেন চন্দ্র দাস, সহকারী প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র দাস ও কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসা. বিথী আক্তারের বাসাও। এসময় শিক্ষক নুরে আলম ও রমেন চন্দ্র সাংবাদিকের প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
তবে সুভাষ চন্দ্র বলেন, প্রধান শিক্ষক ও কমিটির অনুমতিক্রমে ২ব্যাচে ১৬জন এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিশেষ পাঠদান দিচ্ছি। এমন চিত্র শুধু কালাইয়াতে নয়; উপজেলার বগা, নুরাইনপুর, বাউফল পৌর শহর, নাজিরপুরসহ শতাধিক স্থানে রমরমা কোচিং বাণিজ্যের খবর পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মাদ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘তাদের কোচিং বাণিজ্য করতে নিষেধ করা হয়েছে। যদি কেউ করে থাকেন তার দায়ভার বিদ্যালয়ের নয়।’
বিষয়টি নিয়ে সদ্য যোগদানকৃত বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনের দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তিনি বলেন,‘ বিষয়টি এই প্রথম জানলাম। জড়িতদের সতর্ক করা হবে। পুনরায় কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়ালে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত