বিশেষ প্রতিবেদক,খায়রুল আলম রফিক !! ময়মনসিংহ নগরের বত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডস্থ চরাঞ্চলের ৩০টি ভাসমান পরিবারের লোকজন ক্ষুধার যন্ত্রণা সইতে না পেয়ে কাতরাচ্ছিলেন । রোববার এদেরই একজন জেলা পুলিশ সুপারের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করেন। ফোন দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহা: আহমার উজ্জামানকে।
মোবাইল পেয়ে এসপি তাৎক্ষনিক ত্রাণ দিতে ডিবি ওসিকে নির্দেশ দেন।
চাল , তেল, ডাল, লবনসহ ৯ কেজি করে প্রতিটি প্যাকেটে খাদ্য উপকরণ
ডিবির ওসি মো: শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম (বার) নেতৃত্বে ডিবির ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ফারুক হোসেন, সেকেন্ড অফিসার আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের সদস্যরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বিতরণ করেন।
ঘটনাটি ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ তথা ডিবি পুলিশকে একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে মনে করছেন ময়মনসিংহবাসী । ময়মনসিংহের সচেতন নাগরিকরা বলছেন, ময়মনসিংহে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশ যেভাবে মোকাবিলা করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সুষ্ঠুভাবে আইন প্রয়োগের পাশিপাশি ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ অসহায় মানুষেল পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ।
ভূক্তভোগী ৩২নং ওয়ার্ডেও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, খেতে না পেয়ে এবং আমাদের বাচ্চারা , নারীরা এবং এক পর্যায়ে আমরাও কান্নাকাটি করছিলাম । আর কোন উপায় না পেয়ে এসপি স্যারকে মোবাইল করতে বাধ্য হই । এসপি স্যার খুবই মহান মানুষ । আমাদের মোবাইল পেয়ে তিনি এত তাড়াতাড়ি খাবারের ব্যবস্থা করেছেন । আমরা স্যারের অবদান কোনদিন ভুলব না ।
ময়মনসিংহের সামাজিক ও বুদ্ধিজীবি শ্রেণীপেশার মানুষ জানান, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ নিজেদের নিয়মিত দায়িত্ব পালনের সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষকে ঘরে রাখা, তাদের খাদ্য সরবহারহ, অভাবী মানুষকে ত্রাণ, খাবার তুলে দেওয়ার একটি মানবিক নজীর সৃস্টি করেছে, যা গর্বের বিষয়।’
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহা: আহমার উজ্জামানকে পিপিএম (সেবা) জানান, আমাদের পক্ষ থেকে করোনা মোকাবিলায় সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, শ্রমজীবী মানুষকে সহায়তা করা, সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসা না পেয়ে থানায় হাজির হওয়া মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, ঘরে থাকা মানুষের কাছে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পৌঁছে দেওয়া, কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা, লকডাউন এলাকায় মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা, করোনায় মৃতদের দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । অভাবী এবং দরিদ্র মানুষকে সহযোগীতা করা আমাদের দায়িত্বে মধ্যেই পড়ে । খবর পেলেই তাদের সহযোগীতায় এগিয়ে যাই ।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত