বানারীপাড়া প্রতিনিধি>>
অবশেষে বরিশালের বানারীপাড়ার চাখার ইউনিয়নের মিরেরহাটে বেদখল হয়ে যাওয়া সেই সরকারী খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। ‘বানারীপাড়ার চাখারের মিরেরহাটে চলছে সরকারী খাল দখলের মহোৎসব’ শিরোণামে সংবাদ প্রকাশের পরে প্রশাসনের টনক নড়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাস মিরেরহাটে গিয়ে দোকান ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে খালে বাশের পাইলিং দিয়ে মাটি ভরাট করা অংশ উচ্ছেদ করে রহিম বেপারীকে মোবাইল কোর্টে ৫শত টাকা,খাল দখল করে পাকা দোকান ও বসত ঘর নির্মাণের অভিযোগে মুদি দোকানী মিন্টু শরীফকে ৩ হাজার টাকা ও খালে বাঁধ দিয়ে (বাঁশের বেড়া) মাছ শিকারের অভিযোগে সাইফুল ইসলামকে ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন। এছাড়া খাল দখল করে নির্মিত আলিমের অবৈধ স্ব-মিল এবং মিরেরহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ গাজীর লোকালয়ে নির্মিত অবৈধ স্ব-মিল বন্ধ করে দেন। এসময় তিনি মিরেরহাট বাজার সংলগ্ন ওই খাল দখল করে নির্মাণ করা ২০/২২টি দোকান ঘর দখলদারদের নিজ দায়িত্বে অপসারণ করে দখল ছেড়ে দিতে আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল জরিমানা করার পাশাপাশি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তাদের সতর্ক করেন।
এসময় বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক রিয়াজ,ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বাদশা হাওলাদার,নাজির শফিকুল ইসলাম,মিরেরহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ গাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত মিরের হাট বাজার সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর সংযোগ খালে পাইলিং করে দোকান ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি মাটি ভরাট করেন ওই এলাকার রহিম বেপারী । এর আগে রহিম বেপারী সহ বেশ কয়েকজন মিলে ওই খালের এক তৃতীয়াংশ দখল করে ২০/২২টি দোকান ঘর , বসত বিল্ডিং এবং একটি স্ব-মিল নির্মাণ করে ব্যবসা ও সপরিবারে বসবাস করে আসছেন। ওই খালটি বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদী থেকে সংযোগ শুরু হয়ে চাখার ইউনিয়নের ওপর থেকে উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত সন্ধ্যা নদীর শাখা কালিজিরা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। চাখার ও খলিশাকোটা বাজার এলাকা থেকেও ওই খালটির একাংশ দখল করে অবৈধ দোকানঘর নির্মাণ করা
হয়েছে। খালটি দিয়ে নৌ পথে ঐতিহ্যবাহী চাখার বাজারে মাছ,সব্জি,ধান-চাল,ধানের বীজ,বিভিন্ন জাতের গাছের চারা,নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী সহ বিভিন্ন মালামাল আনা নেওয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া এলাকার কৃষি জমিতে সেচ কাজে খালটি গুরুত্বপূর্ণ ভূুমিকা রাখে। ওই খাল দিয়ে বিভিন্ন এলাকার রোগীরা ট্রলার ও নৌকায় চড়ে চাখার ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ও উপজেলার একমাত্র সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে যাওয়া আসা করে থাকে।ইট,সিমেন্ট ও রড সহ ব্যক্তিগত ও সরকারী উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত মালামাল নৌ পথে আনা নেওয়া করতে খালটি ব্যবহার হওয়ায় পরিবহণ খরচ কম লাগে। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাস বলেন জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারী খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্বেচ্ছায় অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নিলে দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত