নিজস্ব প্রতিবেদক>> বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আফতাব হোসেনের ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বরিশাল সদর উপজেলার ২নং কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন লিটন মোল্লা। তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে আফতাব হোসেন। ষড়যন্ত্রের নীল নকশা হিসাবে লিটন মোল্লাকে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে উৎখাতের পায়তারা অব্যাহত রেখেছে আফতাব বাহিনী। শুধু তাই নয়, এই বাহিনীই যেকোন মূল্যে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডকে নিয়ন্ত্রণের সর্বত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি আবারও বিতর্কিত নেতা আফতাবের কাছে জিম্মি হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শ্রমিক ও স্থানীয়দের মাঝে। এদিকে সচেতন মহলের প্রশ্ন কে এই আফতাব? কি তার রাজনৈতিক পরিচয়? বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টির আমলে আফতাব ছিলেন জাতীয় পার্টির সক্রিয় নেতা। এরপর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এই আফতাবই আবদুর রহমান বিশ্বাসকে বাবা ডেকে বিএনপিতে যোগদান করেন। শুধু তাই নয়, বিএনপি ক্ষমতার আমলেই আলোচিত সবুজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হয়েও বিএনপি নেতা হওয়ার কারনে চার্জশিট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করাতে আফতাব সক্ষম হন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এভাবেই চলে তার দলবাজি। এক পর্যায় স্বৈরাচার এরশাদ, খালেদা ও নিজামিকে পরাজিত করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। আর আফতাবও তার পালাবদলের খেলায় হারতে রাজি নয়। তাই ক্ষমতার স্বাদ নিতে তিনি আবার সুযোগ বুঝে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। সব আমলের খলিফা সেজে হাতিয়ে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ পজিশন, অর্থ সম্পদ। সূত্রটি আরও জানায়, বিতর্কিত আফতাব কালো টাকার গরমে দুটি গুরুপূর্ণ পদও বাগিয়ে নেন। এর একটি বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি, অন্যটি জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি। প্রায় ১২ বছর বাসস্ট্যান্ডকে নিয়ন্ত্রণ করেন দল পাল্টানো এই নেতা। রাজত্ব কায়েম করে লুটে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। ঐ সময় তার বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় দুর্নীতির ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। আফতাবের এসব কর্মকা-ে শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষেরই একাধিক মামলা হয়েছে। এক সময় শ্রমিকদের তোপের মুখেই নথুল্লাবাদ ছাড়তে বাধ্য হন আফতাব। তাও সকলের জানা। এ ব্যাপারে আফতাব হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি বাস মালিক সমিতির দায়িত্বে আগেও ছিলাম, এখনও আছি। শুধু অসুস্থতার কারনে সমিতিতে যাওয়া আসা নেই। তিনি আরও জানান, টাকা কামানো, দখল করা, কাউকে হটানো, কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করাসহ অনেক কিছুই আমার বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে। আসলে এসবই ভিত্তিহীন। এদিকে কামাল হোসেন লিটন মোল্লা একদিকে জনপ্রতিনিধি, অন্যদিকে বাস মালিক সমিতির সদস্য হয়েও শ্রমিকদের করোনাকালে নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। সুখে দুখে পাশে রয়েছেন। তার এই জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়েই ওই বাহিনী তার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কামাল হোসেন লিটন মোল্লা বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাভাবে হেয়প্রতিপন্ন করছে। যা আমার রাজনৈতিক অভিভাবকরা সবকিছুই ভালোভাবে জানেন। এছাড়া আমি আমার কর্মের মাধ্যমেই সকল ষড়যন্ত্রকারীর জবাব দেব।
‘এমপি আনার হত্যা: ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে’
প্রতিষ্ঠাতা: প্রহর ডেস্ক ।। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়......বিস্তারিত