প্রহর ডেস্ক!! পেঁয়াজ ক্রেতাদের জন্য সুখবর দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টিসিবি আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করবে। পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রয়ের জন্য এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে টিসিবি।
এদিকে, তিন দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতে এই পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও সুযোগ বুঝে পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুযোগটি নিয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
তাদের হাতে থাকা সপ্তাহখানেক আগে কম দামে কেনা পেঁয়াজও মওকা বুঝে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা বাড়িয়ে দেশি পেঁয়াজ এলাকাভেদে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্য দিকে আমদানি করা বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। আর এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ধনী লোকদের বাজার বলে বিবেচিত অনলাইন গ্রোসারি শপগুলো।
এই যখন অবস্থা কোনো কারণ ছাড়া পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে একটু নড়েচড়ে বসেছে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টাস্ক ফোর্স কমিটি রয়েছে।
সম্প্রতি এই কমিটির একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়। বৈঠকে দেশের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা কথা থাকলেও মূল আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিল পেঁয়াজের দাম নিয়ে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, বৈঠকে পেঁয়াজের মজুদ, আমদানি ও সরবরাহ এবং মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় আলোচনা করে বলা হয়।, দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে, আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। পেঁয়াজের সঙ্কট বা মূল্য বৃদ্ধির কোনো সঙ্গত কারণ নেই। পেঁয়াজের অবৈধ মজুদ বা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে সরকার আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজার মনিটরিং আরো জোরদার করেছে। পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অবিলম্বে খোলা বাজারে ট্রাক সেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে, নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া পেঁয়াজ আমদানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্কহার পুনঃনির্ধারণের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইপি ও কোয়ারেন্টিন বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত