বিশেষ প্রতিনিধি ।। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ককসবাজারে নিয়ে ধর্ষন মিথ্যা অপবাদ ও মানষিক যন্ত্রনা সইতে না পেরেই আত্নহত্যা করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন শাহনাজ পারভিন প্রিমা। তদন্তে আত্নহত্যার আগে প্রতারকরুপি প্রেমিক আবদুল্লাহ আল নোমানের সঙ্গে প্রিমার একাধিকবার ফোনালাপের প্রমান মিলেছে। যেখানে লিহান আত্নহত্যার জন্য প্রিমাকে উদ্ধুদ্ধ করেছিলেন।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির এলএলবি’র শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন শাহনাজ পারভিন প্রিমা। গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদ এভিনিউর বাসার সিলিং ফ্যানে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেন শাহনাজ পারভিন প্রিমা। এঘটনায় তার বাবা সাজিদ মিয়া বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭৫। তাং ২৫ /০৮/২০২০ ।
মামলার সূত্রমতে, প্রিমা ও নোমন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের গ্রামের বাড়িও নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার একই এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরঘুরি করতো।
একটি সূত্র জানায়, প্রেমিক নোমানের সাথে ককসবাজার ভ্রমনে গিয়েছিলেন প্রিমা। সেখানে তারা হোটেলে অবস্থানকালে নোমানের বন্ধু নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম খানের ভাতিজা মুক্তাদির খান লিহানসহ আরো কয়েকজন যুবকের বিচরন ছিলো। ওই সূত্র জানায়, সেখানে প্রেমিক নোমান নিজে যেমন প্রিমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। কৌশলে বন্ধুদেরও প্রিমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করায়। ওই সময়ের কিছু আপত্তিকর দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে নোমান-লিহান। ওই ভিডিও দেখিয়ে প্রিমাকে একপ্রকার ব্লাকমেইল করে তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে লিহানের চাচাতো ভাই জামিউল খান জামি অভিযুক্তদের রক্ষার্থে সহায়তা করে। ব্লাকমেইলের শিকার প্রিমা এ সময় সহযোগিতা চেয়ে প্রেমিক নোমানকে বার বার অনুরোধ করে। কিš‘ নোমান উল্টো প্রিমাকে বিভিন্ন ধরনের অপবাদ দেয়। মানষিক যন্ত্রনা সইতে না পেরে আত্নহত্যা করতে বাধ্য হন প্রিমা।
এদিকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানারা এসআই নেনশন দিপক বাইন জানান, প্রেমার আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলাটি চাঞ্চল্যকর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে বিভিন্ন¯স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান এখনো অব্যাহত। তদন্ত শেষের দিকে। অল্প সময়ের মধ্যেই চার্জশিট দেয়া সম্ভব হবে।
এদিকে নেত্রকোনার একটি সূত্র জানায়, ১৯৯০ সনের ৫ নভেম্বর ছাত্রলীগের নেত্রকোনা সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক পাহাড়ি সিংহ হত্যা মামলার আসামি ছিলেন, মেয়র নজরুল ইসলাম খানের দুই ভাই মোশারফ হোসেন খান ও মাসুদ খান। ১৯৮৭ সালের ৬ এপ্রিল নেত্রকোনা সমালোচিত হয় মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী কিশোয়ারী সুলতানা জয়া আত্বহত্যার ঘটনায়। প্রচার আছে তার স্ত্রীকে আত্মহত্যার করার চাপ প্রয়োগ করেছিলেন?। মৃত্যুর আগে তার স্ত্রী স্বজনদের বলে যান, তার দাফন কাফন যেন পারিবারিকভাবে না হয় । সরকারি কবর¯’ানে যেন তার দাফন করা হয় । ১৯৮৪ সনের ২৭ সেপ্টেম্বও বাংলাদেশে পূর্ণদিবস হরতাল ডেকেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন ঢাকায় মইজউদ্দিন আহমেদ নামের এক আওয়ামীলীগ নেতা মারা যান। নেত্রকোনায় মারা যান জেলা ছাত্রলীগের প্রকাশনা সম্পাদক শাহানুর রহমান তিতাস । তিতাস হত্যা মামলার আসামি ছিলেন, মেয়র নজরুল ইসলাম খানের বড় ভাই জাতীয় পার্টির সাবেক নেত্রকোনা জেলা শাখার সহ – সভাপতি মাহবুবুর রহমান খান বাবুল এবং মেয়র আত্মীয় সাবেক জাপার সভাপতি সাবেক সাংসদ আশরাফ উদ্দিন খান । এ পরিবারের একের পর ভয়ঙ্কর অপরাধের কারনে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করে। কিন্ত ভয়ে কোনো কিছুই প্রকাশ করতে পারে না ভূক্তভোগীরা।
‘এমপি আনার হত্যা: ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে’
প্রতিষ্ঠাতা: প্রহর ডেস্ক ।। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়......বিস্তারিত