বাবুগঞ্জ(বরিশাল) প্রতিনিধি ॥ সারাদেশের ন্যায় বরিশালের বাবুগঞ্জে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের ৫দিন অতিবাহিত হয়েছে। বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উপজেলার সন্ধ্যা,সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদীতে দিনরাত অভিযান পরিচালনা করছে মৎস্য অধিদপ্তর। অভিযানে সহযোগীতা করছেন বাবুগঞ্জ থানাপুলিশের সদস্যরা। দিন-রাত মৎস্য দপ্তরের পরিচালনায় তিনটি ট্রলার ও ক্ষেত্র বিশেষ স্পীড বোর্ড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নদীগুলোতে। গত পাঁচদিনের অভিযানে আটক ১০জনের ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের (২০-৩০দিনের) কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। জব্দ হয়েছে প্রায় ৭০হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল। তবুও থেমে নেই ইলিশ শিকার। প্রতিদিন উপজেলা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর আসছে মৌসুমী জেলেরা বিভিন্ন কৌশলে নদীতে জাল ফেলে মা ইলিশ শিকার করছে। অভিযান উপলক্ষে তৈরিকৃত নতুন নৌকায় মেশিন স্থাপন করে দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রলার নিয়ে নদীতে মাছ শিকার করছে তারা। অভিযান উপলক্ষে নদী পারে ছোট ছোট সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাহারায় থেকে মাছ শিকারে নদীতে যাচ্ছে জেলেরা বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ফলে নদীতে অভিযান চালিয়ে আশানুরুপ সফলতা আসছে না। তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা নদীর দেহেরগতি চরমলেঙ্গা এলাকায়, আড়িয়াল খাঁ নদীর ছোট মীরগঞ্জ ও সুগন্ধা নদীর কেদারপুর মেল্লার হাট এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরি করে মাছ শিকারে নামছে জেলেরা। এছাড়া অভিযানের ৫দিন অতিবাহিত হলেও উপজেলার ৩২৭২টি জেলে পরিবার এখনও সরকারি চাল সহায়তা পায়নি। মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযানের ২২দিনে মাছ শিকারে না যাওয়ার শর্তে প্রতিটি জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল সহায়তা পাওয়ার কথা রয়েছে। দেহেরগতি ইউনিয়নের এক জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকার জাল নিয়ে নদীতে নামতে নিষেধ করেছে। কিন্তু এখনও চাল সহায়তা পেলাম না। এদিকে এনজিও থেকে প্রতিদিন কিস্তির তাগেদা দিচ্ছে। কেদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরে আলম বলেন, প্রতিদিন জেলেরা চালের জন্য খোঁজ নিচ্ছে। অথচ চাল কবে নাগাদ পাবে তা বলতে পারছি না। চাঁদপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সবুজ বলেন, জেলেদের চালের ব্যাপরে এখন পর্যন্ত উপজেলা থেকে কিছু জানানো হয়নি। রবিবার খোঁজ নিয়ে দেখছি। এদিকে বাবুগঞ্জ থানার নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ধ্যা নদীতে জাল ফেলছে একটি চক্র। এব্যাপারে বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ নদীতে আলাদাভাবে মৎস্য অভিযান করে না। উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে পুলিশ সহায়তা করে। কেউ থানা পুলিশের না ভাঙ্গিয়ে মাছ শিকার করা প্রমান পেলে আইনের আওতায় আনা হবে। উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. সাইদুজ্জামান বলেন,আমরা সার্বক্ষনিক নদীতে নজড় রাখছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী দিনরাত অভিযান পরিচালনা করছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি যাতে ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হয়। আগামী রবি ও সোমবারের মধ্যে জেলেরা চাল পেয়ে যাবে বলে আশা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমীনুল ইসলাম বলেন, ইলিশ শিকারে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে কঠোর রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। জেলেদের বরাদ্দকৃত চালের চিঠি পেয়েছি। আগামী দুই দিনের মধ্যে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত