বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি : বরিশালের বাবুগঞ্জে জেল, জরিমানা ও দিনরাত সমানে অভিযান পরিচালনা করেও মা ইলিশ শিকারে নদীতে জাল ফেলা বন্ধ করতে পারছে না কতৃপক্ষ। উপজেলার আড়িয়াল খাঁ, সন্ধ্যা ও সুগন্ধা নদীর ৬০ কিলোমিটার জলসীমায় ইলিশ রক্ষা অভিযানে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের সমন্বয়ে দিনরাত অভিযান পরিচালনা করা হলেও আশানুরূপ সাফল্য আসছে না বলে জানাগেছে। ৩টি নদীর ৬০ কি.মি জলসীমায় মাত্র দুইটি মাছ ধরা ট্রলার ও ক্ষেত্র বিশেষ একটি স্পীড বোর্ড দিয়ে অভিযান পরিচালনা করায় সূযোগ নিচ্ছে মৌসুমী ও অসাধু জেলেরা বলে উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানাগেছে।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে মোট ২২ দিন অভিযানে মন্ত্রনালয় যে বরাদ্দ দিয়েছে তা অপ্রতুল। জলসীমা অনুযায়ী ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলে ট্রলার সংখ্যা বাড়িয়ে নিষেধাজ্ঞার শেষের কয়দিন ফলপ্রসু অভিযান পরিচালনা করা যেত। তারপরও অভিযান সফল করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
বিভিন্ন সূত্র ও সরেজমিন ঘুরে জানাযায়, উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদীর কামার পারা, কাঠেরচর, রফিয়াদী, সুগন্ধা নদীর সানি কেদারপুর, বাবুগঞ্জ খেয়াঘাট, চর মলেঙ্গা, দ্বারিকা ও সন্ধ্যা নদীর রাকুদিয়া, রমজানকাঠী, শিকারপুর, মোল্লার হাটসহ প্রায় ১০-১২ টি স্পটে জেলেরা ইলিশ শিকারের জন্য নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জাল ফেলে। জেলেরা অভিযানের ২ টি ট্রলারের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে জাল ফেলে ইলিশ শিকার করছে। জাল ফেলার খবর পেয়ে অভিযানের ট্রলার আসতে আসতে পালিয়ে যাচ্ছে জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার শেষের দিকে এসে ইলিশ শিকারে মরিয়া হয়ে উঠছে জেলেরা।
বুধবার তিনটি নদীতে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৪০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়েছে। আটক আলতাফ হোসেন (৩৬) নামের একজনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও আটক অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুইজনের অভিভাবকদের ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারীর কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান। এসময় উদ্ধারকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং উদ্ধারকৃত ইলিশ এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান বলেন, আমরা মা ইলিশ শিকার বন্ধ করতে সাধ্যমত চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে তিনিটি নদীতেই প্রতিদিন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানে পর্যাপ্ত জাল উদ্ধার ও আটক কৃতদের জেল জরিমানা করা হচ্ছে। আমাদের অগচরে নদীতে জাল ফেলছে জেলেরা। অভিযানে ট্রলার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারলে আরো সফলতা আসতো। শেষের দিকে জেলেরা মারমূখি ভূমিকায় থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা দরকার।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা যথাসম্ভব নদীতে টহল দিচ্ছি। প্রতিদিন কম-বেশি জাল উদ্ধার হচ্ছে, আটক জেলেদের কারাদণ্ড প্রদান ও জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তিনটি নদীতে অন্তত ৫ টি ট্রলার দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হলে ইলিশ রক্ষা অভিযানে আরো সফলতা আসতো।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত