মাহমুদুল হাসান,রাঙ্গাবালী,(পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে রাতের আধাঁরে একটি মৎস্য খামারে দুর্বৃত্তের বিষ প্রয়োগে বিপুল পরিমান মাছ মারা গেছে। এতে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার বেশি মাছ মারা গেছে বলে দাবি করছেন খামারি। বুধবার উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের নিচকাটা গ্রামে জহিরুল ইসলাম জসিমের মাছের খামারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিচকাটা গ্রামের মসজিদের পাশেই জসিমের খামারে কেবা কাহরা বিষ দিয়ে মাছগুলো মেরে ফেলেছে। জসিম অনেক বছর ধরে মাছের খামার পরিচালনা করে আসছে। খামারটি গ্রাম অঞ্চেলে হওয়ায় দেশি প্রজাতির মাছের সংখ্যাই বেশি। রুই, কাতল, চিতল, তেলাপিয়া মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয় তার খামারে।
প্রতিবেশি সাদ্দাম হাওলাদার বলেন, জসিম মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে। কেবা কাহারা রাতের আধাঁরে তার খামারে বিষ প্রয়োগ করেছে। তার খামারে থাকা বেশির ভাগ মাছেই মারা গেছে। তাছাড়া ওর সাথে কারো শত্রæতা নেই এই এলাকার । যারাই এই কাজটা করেছে ঠিক করে নাই ,শত্রুতা থাকলে মানুষের সাথেই থাকতেই পারে, কিন্তু মাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা। এভাবে চললে অন্য কোন মানুষ মাছের খামার করার সাহস করবে না। এদের কে আমাদের ধরতে হবে এবং আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়াতে হবে।
খামার মালিক জহিরুল ইসলাম জসিম বলেন, আমি দীর্ঘ ৩০ বছর মাছের খামার পরিচালনা করে আসছি। আমি খামার করেই কোনরকম সংসারটা চালাচ্ছি। সুদু এইবার না আমার খামারে আরো একবার বিষ দিয়েছে তখনও আমার অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এইবারও আমার খামারে বিষ দিয়ে বড় ধরনের একটা ক্ষতি করলো। এইভাবে যদি আমার সাথে হয় আমি আমার পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকবো কীভাবে? কেবা কাহারা ১ একর আয়তনের খামারের ছোট দুটি অংশে বিষ প্রয়োগ করেছে জানিনা। এত পুকুরে থাকা বিক্রয় উপযোগী রুই, কাতলা, মিররকার্প সহ দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ মারা গেছে। তিনি ধারনা করছেন এতে তার প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হবে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সালাম মোল্লা জানান, এবিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ আসে নাই। আসলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
‘এমপি আনার হত্যা: ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে’
প্রতিষ্ঠাতা: প্রহর ডেস্ক ।। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়......বিস্তারিত