বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি: বরিশালের বাবুগঞ্জে বৃত্তির সংশোধিত ফলাফলের তালিকা থেকে বাদ পরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছেন বাবুগঞ্জের কিছু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা বলেন,২৮ ফেব্রুয়ারী শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রথম প্রকাশিত বৃত্তির তালিকায় আমাদের বাচ্চাদের নাম থাকায় আমরা মিষ্টি বিতরণ করেছি।
আনন্দ উল্লাস করে প্রতিবেশিদের সাথে উদযাপন করেছি। আমাদের বাচ্চারা বৃত্তি পাওয়ায় পড়াশোনায় আরো মনোযোগী হওয়ার সংকল্প করেছে। কিন্তু শিক্ষা অধিদপ্তরের গাফলতির খেসারত এখন আমাদের দিতে হচ্ছে। পহেলা ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত সংশোধিত ফলাফল আমাদের বাচ্চাদের নাম না আশায় আমরা হতাশ হয়ছি। এটা এক ধরনের তামাশা করা হয়েছে।
বৃত্তির সংশোধিত ফলাফল আমাদের সন্তানদের স্বপ্ন অঙ্কুরেই গলা টিপে হত্যা করেছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের কারিগরি ত্রুটি আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করেছে।
এমনই হাজারো সেফা খানম(রোল-৩৩৬) বাবুগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। প্রথম প্রকাশিত বৃত্তির ফলাফলে সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও পায়।
কিন্ত সংশোধিত ফলাফলে তার রোল না আসায় খুবই ভেঙে পড়েছে। সেফা খানম এর বাবা শাহিন খান বলেন, আমার মেয়ে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে, মানুষিক ভাবে ভেঙে পরছে। এখন ওকে নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
ছোট্ট মনে আঘাত ভবিষৎ জীবনের জন্য কতখানি আচর কাটবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম তালিকায় নাম না থাকলেও এত বড় কষ্ট পেতে হতো না।
একই সমস্যায় পরেছে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবীন মাহমুদ (রোল-৩২০),তাসমিয়া (রোল-৩৫০),আলিয়া আফরিন মাইসা(রোল-৩৩৮) এর পিতা-মাতা।
অভিভাবকবৃন্দ দাবী করেছেন তাদের সন্তান বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য। তারা বৃত্তি পরীক্ষার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছে। প্রথম তালিকায় তাদের নামও ছিলো। কারিগরি ত্রুটি দেখিয়ে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা একধরণের প্রতারণা করা হয়েছে।
মডেল সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের যারা সংশোধিত তালিকায় বাদ পরেছে তারা সবাই মেধাবী। তারা বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য।
বর্নমালা কিন্ডারগার্টেন থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ওয়াসেফ রহমান (রোল-৪২৫) এর পিতা সাহিদুর রহমান বলেন, একটা শিশু বেড়ে ওঠার প্রথম ধাপেই এরকম বড় ধাক্কা দেয়া কতটা যৌক্তিক? কারিগরি ত্রুটি দেখিয়ে দায়িত্বশীকরা এরকম এড়িয়ে যেতে পারে না। সরকারের উচিত পুনরায় বিবেচনা করা।
আইচার হাওলা রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিশাত তাছনিম (রোল-২৯৬), শেখ কামাল কুমাড়িয়ার পিঠ রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসমিয়া(রোল-৪২১) শিক্ষার্থীদ্বয় বলেন, আমাদের সাথে তামাশা করা হয়েছে, আমাদের তামাশার পাত্রে পরিনত করার অধিকার কারো নেই। আমরা বৃত্তি পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি,ফলাফলও পেয়েছি।
কিন্তু এক দিনের মধ্যে সেটা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো ২ মাস ধরে রেজাল্ট ঠিক করতে পারলো না। এক রাতের মধ্যে সংশোধিত তালিকা প্রকাশের কতটা যৌক্তিকতা আছে? সর্বপরি কচিকাঁচা শিশুদের দিকে তাকিয়ে হলেও প্রথম প্রকাশিত তালিকা বজায় রেখে সংযোজন ও বিয়োজন করে নতুন তালিকা প্রকাশে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলদার নাহার বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বৃত্তির ফলাফল সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি অধিদপ্তরের ব্যাপার৷ এ বিষয়ে অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত নিবে।
‘এমপি আনার হত্যা: ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে’
প্রতিষ্ঠাতা: প্রহর ডেস্ক ।। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়......বিস্তারিত