বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক বরাদ্দকৃত ত্রানের চাল আত্মসাতের প্রতিবাদে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান ও ৩ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ হয়েছে। শনিবার (২৯জুলাই) সকাল ১০টায় মাধবপাশা ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে উপজেলার মাধবপাশা বাজার ও ইউপি পরিষদ সংলগ্ন বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কে ওই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বাজারের সড়ক প্রদক্ষিন শেষে তিনমঠ নামক স্থানে এক সমাবেশে মিলিত হয়। মাধবপাশার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম আলী সরদার সভাপতিত্বে এবং হাফিজ আহম্মেদ সরদারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তাব্য রাখেন বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুর রহমান খান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন হাওলাদার, বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য রাজা দিলীপ কুমার রায়, সংরক্ষিত ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপী, সাবেক ইউপি সদস্য মানিক তালুকদার, জহিরুল হক ফিরোজ মোল্লা, জাপা নেতা রিপন মোল্লা, মাধবপাশা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার, মাধবপাশা জাপা সহসভাপতি ফরিদ হাওলাদার, মাধবপাশা বাজার জামে সমজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ সরদার, সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন আকন প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে জানুয়ারী ২০২৩ ইংরেজী থেকে জুন ২০২৩ ইংরেজী তারিখে পৃথক চারটি স্মারকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যার্থে মোট ৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা জনসংখ্যার তারতম্য অনুযায়ী সকল ইউনিয়নগুলোতে বন্টন করার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। সে মোতাবেক বন্টনের হারে মাধবপাশা ইউনিয়নে ১৭.২৯১মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পায়। কিন্তু উক্ত চাল উত্তোলন করে চাল মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান, ইউপি সদস্য মাহাবুব সিকদার, খলিলুর রহমান মৃধা ও মোহাম্মদ বেগকে নিয়ে অত্মসাত করে যা অন্য ইউপি সদস্য কিংবা সচিব জানেন না। এছাড়াও চাল আত্মসাতের সাথে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) যোগসাজশ আছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এ নিয়ে ইউপি সদস্যদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রকাশ পায়। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে। ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে শুক্রবার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হবার দাওয়াত দেয়া হয়। চাল আত্মসাতের ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীনসহ কতিপয় লোক আমার বিরুদ্ধে সর্বদা লেগে আছে। আসলে ওই চাল সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত ফাতিমার উপস্থিতিতে কোরবানির ঈদ সময় ঈদ উপহারের চালের সাথে বিতরণ করা হয়েছে। ইউপি সচিব আবুল বাশার ওই চাল সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, “কতিপয় ইউপি সদস্য নতুন করে মাস্টাররোল তৈরী করে আমাকে স্বাক্ষর তিতে বলেছিলেন কিন্তু আমি তাতে স্বাক্ষর করিনি এবং করবোওনা”।
‘এমপি আনার হত্যা: ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে’
প্রতিষ্ঠাতা: প্রহর ডেস্ক ।। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়......বিস্তারিত