মোঃ রিয়াদ হোসাইন , গলাচিপা ( পটুয়াখালী ) প্রতিনিধিঃ
পটুখালীর গলাচিপায় আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে গনিত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে । জেলার বৃহত্তম উপজেলা গলাচিপা এ উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। তবে এর দুটি ইউনিয়ন রয়েছে প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায়। এবারে প্রথমবারের মত উপজেলা প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং গলাচিপা স্কিল ল্যাবের আয়োজনে এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী।
গলাচিপার মত প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এমন আয়োজনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল শিক্ষার্থীদের গনিত ভীতি দূর করে ৪র্থ বিপ্লবের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতের জন্যে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার(২৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় উপজেলার ১৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় গনিত উৎসব। এ পরীক্ষায় পূর্ণমান ৫০ এবং সময় ১ ঘন্টা।
মেধা তালিকার ভিত্তিতে প্রোগ্রামিং ও ফ্রিল্যান্সিং টিম গঠন করা এবং উক্ত টিমকে ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষন দিয়ে দক্ষ করে তোলা এই উৎসবের উদ্দেশ্য। এই দক্ষ টিম গলাচিপার ভাবমুর্তি উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতরা এ সুযোগ পেলেও ধারাবাহিকভাবে উপজেলার সকল শিক্ষার্থীদের কাছে গলাচিপা স্কিল ল্যাবের কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন সেকশনে গনিত উৎসবের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।।
গলাচিপার মত প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এমন আয়োজনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন।
ইউএনও বলেন, সাধারণত জাতীয় পর্যায়ে গনিত উৎসব হয়ে থাকে। কিন্তু গলাচিপা একটি প্রান্তিক পর্যায়ের উপজেলা, এখানে শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করতেই হিমসিম খায়। যে কারণে তারা বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের জন্য গলাচিপা স্কিল ল্যাব এর পৃষ্ঠপোষকতায় গনিত উৎসবের আয়োজন করেছি। আমরা তিনটি ক্যাটাগরিতে জুনিয়র ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম, মাধ্যমিক ৯ম থেকে এসএসসি এবং উচ্চ মাধ্যমিক ১১শ থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়েছি। গণিত উৎসব-২০২৩ থেকে বাছাইকৃতদের জন্য থাকছে, ক্ষুদে প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা, লট প্রজেক্ট মেকিং কর্মশালা, আইটি লিটারেসি, সাইবার সিকিউরিটি, ফ্রীল্যান্সিং প্রশিক্ষন ইত্যাদি।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন,
‘আমাদের ইউএনও স্যার বলেছেন এটি কোনো পরীক্ষা নয় এটি একটি উৎসব। আর সে অনুযায়ী আমরা উৎসবে মেতে উঠেছি। অনেক ভালো লাগছে।’
এ বিষয়ে আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিত কুমার দত্ত বলেন,
‘ইউএনও স্যারের এমন উদ্যোগ এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরাও খুশি। এবারে প্রথমবারের মত গলাচিপায় গনিত উৎসবের আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এটি ইউএনও মহোদয়ের অনন্য উদ্যোগ। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’