নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বরিশালে বাবুগঞ্জে উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন ও তার ভাইয়ের উপরে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ফিরোজ সরদারের ইন্ধনে দুই দফা হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা।
বুধবার বিকেলে ৫ টায় মাধবপাশা ইউনিয়নের ৭ং ওয়ার্ডের অমৃত কারখানার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দরপার এলাকায় দ্বিতীয় দফায় হামলার শিকার হন শ্রমিক দল নেতা ও তার ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভূক্তভোগীর পরিবার জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে চায়ের দোকানে বসে আলমগীর চা খাচ্ছিলেন। এসময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির ফিরোজ সরদারের ঘনিষ্ঠ রুবেল হাওলাদার, মেহেদী হাসান, জুয়েল হাওলাদারসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫জন দুর্বৃত্ত নিয়ে অমৃত কারখানার এক শ্রমিকে ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে লিটন নামে ও শ্রমিক গুরুতর আহত। হামলার সময় উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন ঠেকাতে গেলে তাকেও এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করে। এতে তার আপন ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন ঠেকাতে গেলে তার উপরে হামলা চালানো হয়।
অভিযোগ উঠেছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে বিএনপির আশ্রায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ সরদার। উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিবের সাথে ঘনিষ্ঠতা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস কর্মকান্ড করে আসছে।
উপস্থিত জনতা জানান যে,তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এর সাথে জড়িত ছিল।
৫ আগস্টের আগে ছিলো নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী । ৫ আগষ্ট পর থেকেই তারা বিএনপির নেতা হয়ে গেছে। আর আগে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাধা প্রদান করেন আলমগীর। এরই জের ধরে শ্রমিকদল নেতা আলমগীর ও তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালায় তারা ।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরাত হোসেন কচি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা দলের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ ও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদরকে আইনের আওতায় আনা হোক’। যারা তাদের আশ্রয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি করছি।
‘আমরা ১৭ বছর আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি’
প্রতিষ্ঠাতা: মো. রিয়াদ হোসাইন, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ‘একটি মহল নির্বাচন বানচালের......বিস্তারিত
