প্রহর ডেস্ক !! রাজনৈতিক মতাদর্শ পার্থক্য থাকলেও অবৈধ ব্যবসায় এক তারা। বরিশালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও হিজবুত তাওহীদ নেতার একত্রে অবৈধ বালু ব্যবসার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকাবাসী ও চাষীরা। উর্বরা শক্তি হারাচ্ছে কৃষি জমি। প্রশাসন নীরব। সরেজমিনে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা গ্রামে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনো বেগমের বাড়ীর উত্তর পাশে তালতলী নদী থেকে দীঘদিন যাবত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। তাদের বারূ উত্তোলনের জন্য বাবুগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা থেকে ড্রেজারসহ শ্রমিকদের আসার কারনে ওই এলাকায় এখন সাধারণ জনগনের মধ্যে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে।
আওয়ামী লীগ বিএনপি ও হিজবুদ তাওহীদ নেতার যৌথ অবৈধ বালু ব্যবসার কারনে কাগাশুরা থেকে সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বিল্ববাড়ী গ্রামের লাকুটিয়া সড়ক পাইপ ফ্যাক্টরী সংলগ্ন ড্রেজার থেকে প্রায় ১৪ হাজার ফুট পাইপ টেনে নেয়ায় সেখান ওই পাইপ থেকে কৃষকের ফসলী জমিতে বালু পরে তাদের জমিতে উর্বরা শক্তি নষ্ট হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও ভয়ে কোন কৃষক মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, চরবাড়ীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সহিদুল ইসলাম ওরফে সহিদ বর্তমানে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর লোক পরিচয় দিয়ে নদী থেকে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বালু ব্যবসা করে আসলেও তিগ্রস্থরা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
বালু দস্যুদের এহেন জনবিরোধী কর্মকান্ড কাউনিয়া থানাকে অবহিত করলে থানা থেকে বেশ কয়েকজন পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলে আসলেও পরে তাদের ম্যানেজ করে পুরোদমে চলছে বালুর ব্যবসা। লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ প্রশাসন দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। এরমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কিভাবে চলছে তাদের তাদের অবেধ বালু বানিজ্য তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্থ ও সাধারন জনগনের প্রশ্ন? প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিভাবে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ?
এব্যাপারে বালু ব্যবসায়ী মো. মাসুদ হোসেন তালুকদার ফোনে জানান, তারা কোন অবৈধ ব্যবসা করছেন না। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, তিন চার বছর যাবত যারা অবৈধভাবে বালু ব্যবসা করছিল তাদের তো কেউ বাধা দেয়নি? তারা এখনো ব্যবসা শুরু করেন নি জানিয়ে বলেন মীরগঞ্জ না বাবুগঞ্জে একটা চর সরকার থেকে লিজ নেয়া আছে, সেখান থেকে বালু এনে সাপ্লাই দেবেন তারা। তবে কে এই লিজ নিয়েছে তা তিনি জানাতে পারেন নি। রতন তার ফুফাতো ভাই জানিয়ে তিনি আরও বলেন আমানতগঞ্জের কালু মিয়া ড্রেজারের মালিক। তার সাথে চুক্তি অনুযায়ি সে বালু সরবরাহ করবেন। তিনি এই প্রতিনিধির সাথে সরাসরি কথা বলারও আগ্রহ প্রকাশ করে বিষয়টি ভার করে জানার অনুরোধ করেন।
সদর উপজেলার এ্যাসিল্যান্ড মেহেদী হাসান বলেন, ওই স্থানে গিয়ে তিনি দুই বার বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়ে এসে ছিলেন। তার পরেও কিভাবে বালু কাটছে তা তার জানা ছিল না। অবৈধ বালু ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে তিনি সহসাই আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।
‘এমপি আনার হত্যা: ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে’
প্রতিষ্ঠাতা: প্রহর ডেস্ক ।। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়......বিস্তারিত