বিশেষ প্রতিবেদক !! প্রথমেই জানাই শাওলিন উশু ফাইটার স্কুলের ছাত্র ওবায়দুল্লাহ ইন্তেকাল করায় শাওলিন উশু ফাইটার স্কুলের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ তাঁর পরিবারের প্রতি গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি।
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন),
আল্লাহ্ তাকে বেহেশত নসিব করুন (আমিন)
দিনটি ছিলো ১৫ই ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার ছিলো ঐ দিন বিকালে তায়কোয়ানডো ফেডারেশন (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেসিয়ামের) ঐ খানের ডেকরেশন করার জন্য ২দিন আগে থেকেই সকল ম্যাট উঠিয়ে ফেলেছে বিধায় জানতে পারি যে আগামী ৩ দিন বিজয় দিবস তায়কোয়ানডো প্রতিযোগিতা- ২০১৮। এজন্য আমি সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মোবাইলে এস এম এস করি ও যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে বলেছি যে আগামী ১৬/১২/১৮ হইতে ১৯/১২/১৮ ইং তারিখ এই ৪ দিন কোন ছাত্র-ছাত্রী জিমনেশিয়ামে আসবেনা তায়কোয়ানডো খেলা আছে। তোমরা ৪ দিন কেউ খেলা দেখতেও আসবেনা। এই ৪ দিন ট্রেনিং বন্ধ। ঐ দিনই রাতে আমি ঢাকার বাহিরে বরিশালে চলে যাই। কারন আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী ১৬ই ডিসেম্বার ছিলো ।
ওবায়দুল্লাহ ও তার বন্ধু নাঈম ঐখানে Gymnastics mat ( জিমন্যাসটিক ম্যটে) জিমন্যাসটিক করতে যায় এবং ওবায়দুল অনেকগুলো Front Flip মারে কিন্তুু হঠাৎ ডিজব্যলেন্স হয়ে সরাসরি ম্যটে মাথা পরে ঘাড়ে ব্যথা পায়। (উশু না)। ঐখনে জিমন্যাসটিক করে অনেকেই খেলোয়াড়ই স্বাক্ষী আছে। প্রয়োজন হলে তারাও বলবে।
আমি ১৬ ই ডিসেম্বর রবিবার আনুমানি সকাল ১০ টার দিকে ওবায়দুল্লাহর বড় ভাই কল করে আমাকে বলে যে ওবায়দুলাহ ট্রেনিং করে ঘারে ব্যাথা পেয়েছে। আমি বল্লাম কোথায় ও কিভাবে? ওবায়দুলার বড় ভাই বলে ক্রীড়া পরিষদে। আমি শুনে বল্লাম ট্রেনিংতো বন্ধ ৪ দিন। তারপর বল্লাম মেডিকেল নিতে। ঐখানে কোন সিনিয়ার প্রশিক্ষক উশু ট্রেনিং করায়নি।
আমি হাসপাতালে দেখতে যাই এবং আসার সময় আমি ওবায়দুল্লাহ ভাইকে বলি আবার আসবো সে আমাকে বলে আপনার আর আসার দরকার নেই। আমি বল্লাম ভাই এটা কেমন কথা হলো সে বল্লো যে আমার মায়ের মাথা ঠিক নাই আপনাকে আজেবাজে কথা বলতে পারে তাই আসার দরকার নাই। আমি বল্লাম এখানে আমার কি দোষ বলেন ভাই আমি আন্টিকে বুঝিয়ে বলবো। (স্বাক্ষী আছে)। আমি সব সময় ওবায়দুল্লাহর বড়ো ভাইয়ের বন্ধুদের কাছ থেকে খবরা খবর নিতাম। আমি ঢাকা মেডিকেলে একজন বড় অফিসারকে দিয়ে ফোন করে ঢাকা মেডিকেল থেকে কিছু সুযোগ করে দিয়েছিলাম। আমার এক বড় ভাইকে বলে ওবায়দুল্লাহর ফ্রী চিকিৎসা করার জন্য বহুদিন তার পিছনে লেগেছিলাম কিন্তু হয়নি। আমি জানি ওবায়দুলকে আমি কতো স্নেহ করি।
আমি যদি ওবায়দুলকে প্রশিক্ষন করাতাম তাহলে আমিইতো হাসপাতালে নিয়ে যেতাম।
এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কিছু কুচক্রী মহল অপোপ্রচার চালাচ্ছে।
আরো উল্লখ্য যে, আমার অধীনে যার প্রশিক্ষন করে আমি সবাইকেই একটা ভালো খেলোয়াড় বানানোর চেষ্টা করে থাকি। ২০১৮ সালে বি কে এস পি এর একটি প্রতিযোগীতায় কয়েক জন খেলোয়াড় নিয়ে অংশ গ্রহন করেতে যাই। তবে ওবায়দুল্লাহ অনুপযুক্ত বিধায় তাকে প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করতে দেইনি। তাকে নেয়া হয়েছিলো শুধুমাত্র সিনিয়ারদের খেলা দেখে খেলার মান উন্নয়নের জন্য। আশাকরি আমার বক্তব্য যথাযথ ভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা করবেন।
ধন্যবাদন্তে
মেজবাহ উদ্দিন
জাতীয় কোচ (উশু)
০১৭১২১৩৬৮৮২
‘‘দোষ-ত্রুটি ভুলে যাওয়ার পরেও যারা সংশোধন হচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ : হাসান মামুন’
প্রতিষ্ঠাতা: মোঃ রিয়াদ হোসাইন , গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি !! ‘বিগত সরকারের......বিস্তারিত