বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
বাবুগঞ্জে পৈত্রীক রেকর্ডিয় জমিতে মৃত সেতারা বেগম(৭০)’র দাফনে বাধা প্রদান করেছেন মৃতের চাচাতো ভাই ও চাচাতো ভাইয়ের সন্তানেরা।
সেতারা বেগম বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের সিংহেরকাঠী গ্রামের ছোট মীরগঞ্জ এলাকার মৃত বারেক হাওলাদারের স্ত্রী।
নদী ভাঙ্গুলী হওয়াতে সেতারা বেগমের স্বামীর রেখে যাওয়া বসত ভিটা ছাড়া সর্বস্ব নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে নিঃস্ব ছিলেন। মায়ের ইচ্ছা এবং অছিয়ত অনুযায়ী তার মৃত্যুর পরে পিত্রালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে সন্তানেরা কবর খুড়তে গেলে এতে বাধাপ্রদান করেন মোখলেচ হাওলাদার, তার পুত্র সুজন, সজল ও তাদের সহযোগীরা।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাদবিতন্ডা এমনকি হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মৃতের ছোট পুত্র নাসির এবং তার স্বজনরা। বাধাপ্রদানকারী মোখলেচ হাওলাদার মৃত সেতারা বেগমের আপন চাচাতো ভাই এবং উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের চাঁদপাশা গ্রামের মৃত নাজেম হাওলাদারের পুত্র।
অবশেষে পিত্রালয়ের মাটিতে দাফন সম্পন্ন হলেও সেতারা বেগমের অছিয়ত করে যাওয়া স্থানে দাফন করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে হাতাহাতির বিষয় অস্বীকার করে মোখলেচ হাওলাদারের পুত্র সুজন বলেন, অংশ মোতাবেক সেতারা বেগমের নামে অতিরিক্ত জমি রেকর্ড হয়েছে যা ফেরত দেবার কথা ছিল।
এ নিয়ে কয়েকবার শালিশ বৈঠকও হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। অতিরিক্ত জমি ফেরত না দেয়াতে কবর খুড়তে বাধা প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয় সিংহেরকাঠী এলাকার ইউপি সদস্য জামাল হোসেন পুতুল বলেন, সেতারা বেগম পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত এস.এ এবং বি.এস রেকর্ড অনুযায়ী ৪৯ শতক জমির মালিক হওয়া সত্যেও কেন তার চাচাতো ভাই নির্ধারিত স্থানে দাফন করতে দিলেন না তা বোধগম্য নয়।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত