DailyBarishalerProhor.Com | logo

১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাঙ্গাবালীতে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি

প্রকাশিত : অক্টোবর ০৬, ২০২৩, ২২:৪৬

রাঙ্গাবালীতে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি

জাকারিয়া ইসলাম, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলতি আমন মৌসুমে প্রায় ৫হাজার হেক্টর জমিতে অনাবাদি রয়েছে। জলাবদ্ধতা এবং বিলের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় কর্তৃপক্ষের অনীহার কারণে বিপুল পরিমাণ চাষযোগ্য জমি অনাবাদি থাকছে বলে আিভযোগ স্থানীয় কৃষকদের।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতে বীজতলায় (চারার জন্য) যখন ধান ফালাই তখন টানা ১০ দিনের বৃষ্টিতে আমাদের নিচু জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। পরবর্তীতে পুনোরায় খেতে ধান ফাইলেও অনেকে কিছু বীজতলা করতে পারছে আবার অনেকেই বীজতলা করতে পারেনি। এ কারনেই এলাকায় আমন বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এলাকায় বেশি দাম দিয়েও আমন বীজ সংগ্রহ করতে পারেনি। এ অবস্থায় চলতি মৌসুমে অনেক কৃষকের জমি অনাবাদি রয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্র ছিল ৩৪ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে। চলতি ২০২৩ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ১৬০ হেক্টর। এতে দেখা যায় ৪ হাজার ৩৭০ হেক্টর চাষযোগ্য জমি অনাবাদি থাকছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা ও বীজ সংকটের কারণে উক্ত হিসাবের বাইরেও প্রায় ৮০০ হেক্টর জমি অনাবাদি রয়ে গেছে। সে হিসাবে দেখা যায় এবছর উপজেলার প্রায় ৫ হাজার ১৭০ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৯২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। তবে অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে ৩০০ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়।
মৌডুবী ইউনিয়নের চাষি মো. মাহাতাব ভূইয়া জানান, ‘এ বছর মৌসুমের শুরুতে ছয় একর জমিতে আমন বীজতলা তৈরি করি। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে ৬ একর জমির জন্য তৈরি সমস্ত বীজ নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবার বীজতলা করতে হয়েছে।’
স্থানীয় ভূইয়া কান্দা গ্রামের চাষি পরামিন পন্ডিত বলেন, ‘বাইলাবুনিয়া ও ভ‚ইয়া কান্দা দুই গ্রামের মধ্যবর্তী বিলে প্রায় ৫০০ একর জমি অনাবাদি রয়েছে। এই বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম খইয়ার খাল। খালে বাধ নির্মাণ করে একবাধিক বাড়ি ও পুকুর থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।’ এছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনো সুরহা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে কারণে চারা বিনষ্ট হওয়ায় উপজেলার মৌডুবী ও চালিতাবুনিয়ায় চাষিরা জমি আবাদ করতে পারেনি। এছাড়াও আগাম তরমুজ চাষেল উদ্যেশ্যে রাঙ্গাবালীতে প্রায় ৮০০ হেক্টর জমি অনাবাদি রয়েছে।’
খইয়ার খালের পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে জানতে চাইলে মৌডুবী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদ রাসেল বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও এম,পি মহোদয়ের ডিও লেটার সহ জমা দেওয়া হয়েছে। এবং প্রাথমিক সমীক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খেপুপাড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয় প্রধান কার্যালয়

রোকেয়া মঞ্জিল, সিএন্ডবি রোড, কাজীপাড়া, বরিশাল ।

মোবাইলঃ ০১৭৬১৮৭১৭৬৭, ০১৭১১৬৫৯২৬৮

মেইলঃ barishalerprohor.news.bd@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ
Web Design & Developed By
ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক

প্রতিষ্ঠাতা :
মোঃ নাছিম শরীফ


উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: ডাঃ তুলিপ রায়

  • মোবাইলঃ ০১৭১১৬৫৯২৬৮

  • মেইলঃ barishaler.prohor@yahoo.com
  • মোবাইলঃ ০১৭১১০৩৬৮০৮
    • সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল রাঢ়ী
    • বার্তা প্রধানঃ মোঃ আল আমিন হোসেন
    ডেইলি বরিশালের প্রহর কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।