ডেস্ক রিপোর্ট।। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই অনুরোধ জানান দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির ও করিমের মা মহিমা বেগম।
জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, সবার কাছে আমার অনুরোধ, যার যার সন্তান, আমরা অভিভাবকরা বুঝিয়ে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাই। আমরা একটা শক্ত বিচার পাব, আমরা আশা করি। এটা প্রধানমন্ত্রীর নিজের মুখের কথা।
করিমের মা মহিমা বলেন, সবাই আমার সন্তানের জন্য রাস্তায় নেমেছ। সবই হয়ে গেছে। এখন তোমরা যে যার ঘরে উঠে যাও। তোমাদের সবার কাছে অনুরোধ, তোমরা ঘরে ফিরে যাও।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষার সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের নিচে চাপা পড়েন ঢাকার শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দিয়া ও করিম।
ওই দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। গত দুই দিনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে অনান্য জেলাতেও।
এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার রাতে ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে’ বৃহস্পতিবার দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনার কথা জানান।
এর পরও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুরো রাজধানীর রাজপথ দখল করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। পুলিশের ভূমিকায় নেমে গাড়ি থামিয়ে তারা লাইসেন্স পরীক্ষা করছে।
নিহত দুইজনের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রত্যেক পরিবারকে অনুদান হিসেবে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেন সরকারপ্রধান।
দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির, ভাই-বোন, মা এবং আবদুল করিমের মা মহিমা বেগম, বোন ও পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রিন্সিপাল নূর নাহার ইয়াসমিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বুধবার তাদের বাসায় গিয়েছিলেন সমবেদনা জানাতে। তিনিও দোষীদের বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা কেউ চাপিয়ে রাখতে পারবে না। এর বিচার হবেই। বিচার হলে আমরা দেশের মানুষ সবাই শান্তি পাব।
সন্তানহারা এই বাবা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন। আমরা খুব কৃতজ্ঞ।
এ সময় মহিমা বেগমের পাশে থাকা করিমের বোন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন। আমরা স্যাটিসফাই হয়েছি। তোমরাও স্যাটিসফাই হও।
‘আমরা দোয়া করি, তোমরাও দোয়া কর তোমাদের বন্ধুদের জন্য। সবাই ঘরে ফিরে যাও’
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত