শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজধানীর কয়েকটি স্থানে হামলার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা। আন্দোলনকারী ও আন্দোলনবিরোধী উভয়ের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুর ১টার দিকে শনিবারে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
এর কিছুক্ষণ পর ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হেলমেট এবং লাঠিসোঁটাসহ বেরিয়ে এসে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাতে বাধা দেয় তারা। জিগাতলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হেলমেটধারী একদল যুবক রড, লাঠি নিয়ে বেধরক মারধর করে এপির ফটোসাংবাদিক আহাদকে। তার মোবাইল ফোন ও ক্যামেরাও কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এরপর তাকে পার্শ্ববর্তী ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করে সহকর্মীরা। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, আহাদ মাথায় গুরুতর আঘাত পান। এতে তার মাথায় কয়েকটি সেলাই করা হয়েছে।সায়েন্সল্যাব এলাকায় হামলায় আহত হন প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক আহমেদ দীপ্ত, জনকণ্ঠের ফটোসাংবাদিক জাওয়াদ এবং ইউএনবির ফটোসাংবাদিক পলাশসহ অন্তত পাঁচজন ফটোসাংবাদিক। এ ছাড়া ল্যাবএইড মোড়ে দেশটিভি, বাংলাভিশনসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ছবি ও ফুটেজ মুছে ফেলা হয়। উত্তরা এলাকায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের আন্দোলনের ছবি তুলতে বাধা দেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েকজন সাংবাদিক উত্তরা হাউস বিল্ডিংয়ের ফুটওভার ব্রিজে গিয়ে ভিডিও করতে গেলে তাদের দিকে তেড়ে আসে একদল শিক্ষার্থী। পরে আরেক দল শিক্ষার্থী এসে সাংবাদিকদের ওভারব্রিজ থেকে নামিয়ে দেয়। বনানীতে অবস্থান নেওয়া বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও ছবি তুলতে বাধা দেয় সাংবাদিকদের। রামপুরা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ছবি তুলতে গেলে হামলার শিকার হন এক অনলাইন পোর্টালের ফটোসাংবাদিক। এ সময় কয়েকজন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীকে তাকে মারধর করতে দেখা যায়।
আগের দিন শনিবারও সায়েন্সল্যাব এলাকায় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের চার সাংবাদিকের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে এক নারী ফটোসাংবাদিককেও লাঞ্ছিত করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক পরিচয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলেই রোষানলে পড়েন গণমাধ্যম কর্মীরা। এমনকি আন্দোলনরতরা তাদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত