নিজস্ব প্রতিবেদক।। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষক সুবিধাভোগী সরকারগুলো শুধু পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতেই ব্যস্ত হয়নি, তারা দেশের ভেতর স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপন্থীদের রাজনীতি করারও অনুমতি দেয়। যার মধ্য দিয়ে দেশে ধর্ম ভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সূচনা ঘটে, যা বাহাত্তরে রচিত ধর্ম নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
সংবাদপত্রের সংবাদ দেশের ঐতিহাসিক তথ্যের দলিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় হবার পর স্বাধীন দেশের সরকারের নেয়া প্রথম কিছু সিদ্ধান্তের একটির দলিল পত্রিকার এই খবরটি। যেখানে বাংলাদেশ বিরোধী, পাকিস্তানের প্রতি বিশ্বস্ত এবং ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য সাম্প্র্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধের সেই সিদ্ধান্ত ছিল অসাধারণ। যা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনীদের সরকারগুলো পাল্টে দেশের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে এসে নোংরা, কলুষিত করে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মুশতাকের নেতৃত্বাধীন খুনীদের সরকার সামরিক আইন জারি করে। সংবিধান স্থগিত এবং সব রাজনৈতিক দল ও রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। পরে দেশের প্রথম সেনা শাসক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান সেনা শাসন দীর্ঘায়িত করে। তিনি পরে একসময় সামরিক বাহিনী ও তাদের নানা সংস্থাকে ব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এর পর নিজের সুবিধামত তিন দেশে আবার রাজনীতি চালু করেন। তখন একাত্তর সালে নিষিদ্ধ পাকিস্তান পন্থী, বাংলাদেশ বিরোধী, সাম্প্রদায়িক, ধর্মীয় দলগুলোকে রাজনীতি করার অধিকার দেন। যা দেশে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সূচনা ঘটায়।
দেশে সামপ্রদায়িক রাজনীতির বিষ বৃক্ষ এরপর থেকে ক্রমমই বড় হয়েছে। রাজনীতিতে পাকিস্তানের মত ধর্মের ব্যবহার বিতৃত হয়েছে। যা স্বাধীন বাংলাদেশে হবার কথা ছিলনা।
জামায়াতে ইসলামীসহ স্বাধীনতা বিরোধী, ধর্মীয় মৌলবাদী সাম্প্র্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ এবং রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বন্ধের দাবিতে গত কয়েক দশক ধরে গণ আন্দোলন ও দাবি জেগেছে। কিন্তু ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি থেকে মুক্তি মিলছে না বাংলাদেশের।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত