ডেস্ক রিপোর্ট!! পাবনার মধ্যশহরে আব্দুল হামিদ সড়কের বহুতল বাণিজ্যিক ভবন ‘সাত্তার বিশ্বাস ভবনে’ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
সোমবার ভোরে শহরের কেন্দ্রস্থলে জেবি মোড়ে অবস্থিত ছয়তলা ভবনে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ভবনের ব্যাংক-বীমা, ওষুধের দোকানসহ অন্তত দশটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় তিন কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
পাবনা ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভোর সোয়া ৫টার দিকে ভবনটির নীচতলায় অবস্থিত অ্যাপেক্স’র শোরুমে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পাবনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পাবনা দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক এম সাইফুল ইসলাম জানান, কিভাবে আগুন লেগেছিল তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ভবনে থাকা ব্যাংক-বীমা, ওষুধের দোকানসহ অন্তত দশটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে, অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের অদক্ষতার অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন বলেন, বড় ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনায় পাবনার ফায়ার সার্ভিস কতটা অদক্ষ তার প্রমাণ আজ আমরা পেলাম। অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের পানি শেষ হয়ে যায়। এরপর পানির ব্যবস্থায় সময় ক্ষেপণে আগুন বেশি ছড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, বহুতল এই ভবনে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ব্যংকের শাখা রয়েছে। সেখানে রেস্তোরাঁর রান্নাঘর কিভাবে থাকে সেটাই বিস্ময়কর ব্যাপার।
মুদ্রণ ব্যবসায়ী তৌহিদ আলম জানান, ভবনের দোতালায় আমার প্রায় কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। কি অবস্থায় আছে কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে ফায়ার সার্ভিসের অদক্ষতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই আমারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। জেলা পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকায় আমরা সর্বোচ্চ নিরপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এবং প্রশাসন ঘটনার তদন্তে নেমেছে। অগ্নিকাণ্ডের কারো গাফিলতির প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিসি মো. জসিম উদ্দিন জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাত্তার বিশ্বাস ভবনের নিচতলা থেকে আগুন লেগে দ্রুত উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচেষ্টায় আটকে পড়া ছয়জনকে নিরাপদে বের করে আনা গেছে। তবে ভবনটির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় বেশি লেগেছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন ও পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিকাণ্ডে ভবনে থাকা ব্যাংক-বিমা, ওষুধের দোকানসহ অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত