DailyBarishalerProhor.Com | logo

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিজ জেলায় অবাঞ্চিত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মাদকসেবি রাজীব

প্রকাশিত : আগস্ট ২১, ২০১৮, ০০:৪৩

নিজ জেলায় অবাঞ্চিত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মাদকসেবি রাজীব

ডেস্ক রিপোর্ট !! কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছেন বরিশালে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। রাজীব আহসানের নিজ জেলাতেই এবার অবাঞ্চিত হয়েছেন। বরিশালে রাজীব আহসনানের সাথে সাথে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে উত্তর জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সালাউদ্দিন পিকলু জোমাদ্দারকে। রবিবার রাতে বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনার পর বিক্ষোভে ফেটে পরে ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এসময় রাতেই তারা তাৎক্ষনিকভাবে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে তালা দিয়ে বিক্ষোভ ও সড়কে অগ্নিসংযোগ করেন। অবশ্য এসময় অতিরিক্ত পুলিশ থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। সোমবার সকালে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা নগরীর সদর রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এর আগে নেতাকর্মীরা ঝাড়ু – মিছিল সহকারে বিক্ষোভ সমাবেশস্থলে যোগদান করেন। এসময় বিক্ষুব্দ নেতা কর্মিরা রাজিব ও পিকলুর দুই গালে জোতা মারো তালেতালে এই স্লোগান দিতে থাকে। পাশা পাশি পিকলুকে ক্ষমতাসীন দলের দালাল আখ্যয়ীত করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করা জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মুন্না জানান, ২০১১ সালে ছাত্রদলের কমিটি গঠন হওয়ার পর সেই কমিটিতে আমি যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলাম। তখন থেকেই ছাত্রদলকে একত্রিত রাখতে নানা আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহন করি এবং দলের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে একটি পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেটা মেনে নেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। জেলা ও মহানগর ছাত্রদলে অযোগ্য লোকজনদের নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছে। যারা কোনো দলীয় কর্মকান্ডের জন্য কোনো মামলার শিকার হয়নি। বিক্ষোভ কর্মসূচীকালে নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন এবং তার ছবি পুড়িয়ে বিক্ষোভ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম জনি, অহিদুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ। অপরদিকে বিকালেও বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সদ্য ঘোষিত জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পাওয়া সোহেল রাঢ়ী তার পদ থেকে বিকাল ৫ পদত্যাগের ঘোষনা দেন। তিনি বলেন, এটা একটি পকেট কমিটি। যারা এতোদিন দলের হয়ে কাজকর্ম করেছে তাদেরকে কমিটির নীচের পদে রাখা হয়েছে। আমি আমার পদ ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমি ধানের শীষের ভোটার তাই আমার এই ধরনের পদের প্রয়োজন নেই। ত্যাগী নেতাকর্মীরা এই কমিটিতে প্রতারিত হয়েছে। কমিটিতে পদবঞ্চিত জেলা ছাত্রদলের নেতা সাইফুল ইসলাম সুজন বলেন, কমিটি কিভাবে কাদের দিয়ে দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছি না। দলের হয়ে যারা রাজপথে থেকে মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন তারা কমিটিতে নেই। কামরুল নামের একজনকে কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে, সে কোথা থেকে আসলো তা কেউ বলতে পারছে না। তার বাড়ি কাজীরচরে অর্থাৎ রাজীব আহসানের বাড়ির পাশে এটুকুই শুধু জানি। এদিকে জানা গেছে, মহানগর ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে তেমন কোনো কোন্দল সৃষ্টি না হলেও বেশী আলোচিত হচ্ছে জেলা ছাত্রদলের কমিটি। এখানে যাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তারা উভয়ের ছাত্রত্ব নিয়ে শংকা রয়েছে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দাবী, এরা একজন ঢাকায় চাকরি করে অপরজন কামরুল বরিশাল মহিলাদলের নেত্রী ফাতেমার ঘর জামাই। কামরুল নগরীতে ঘর জামাই হিসেবে পরিচিত। দুইজন আদু ভাই নামে পরিচিত বরিশালে। এবিষয় মহানগর আওতাধীন ১৭ নং ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হাসান বাপ্পি জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সবাপতি রাজীব আহসান নিজেই ৯২ সালের ব্যাচের ছাত্র হয়েও কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ২০০০ সালের কথা বলে যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে নিজের লোক দিয়ে কমিটি দিয়েছে। ছাত্রদল নেতা আরো বলে, রাজীব আহসান এক জন মাদকাসক্ত লোক যার প্রমান হচ্ছে পটুয়াখালিতে ইয়াবা ও মদসহ পুলিশের হাতে আটক হয়। এই মাদকাসক্ত নেতার বরিশালে কয়েক জন দালাল রয়েছে যারা তাকে নিয়মিত বাবা সাপলাইদেয়। সেই দালাল চক্রের সদস্যদের দিয়েই কমিটি দিয়েছেন রাজীব আহসান। ছাত্রদল নেতা বাপ্পি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানকে চ্যালেঞ্জ ছুরেদিয়ে বলেন তিনি যে সকল নেতাদের দিয়ে কমিটি দিয়ে তাদের বিগত আন্দোলন সংগ্রামের চিত্র পারলে মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করুক আর আমরা পদ বঞ্চিতরাও প্রকাশ করি বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের কি ভুমিকা ছিল। তিনি আরো বলেন উত্তর জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক পিকলু, দক্ষিন জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক তছলিম ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মঞ্জু বরিশালে রাজীব আহসানের দালাল হিসেবে পরিচিত। এই তিন নেতা রাজীব আহসানকে সেবনের জন্য প্রতিমাসে নিয়মিত ইয়াবা পাঠায় এস এ পরিবহন ও লঞ্চের মাধ্যমে। রাজীব আহসানকে নিয়তমিত মাদক বিক্রির টাকাও পাঠায় এই তিন নেতা এমটি অভিযোগ করেন বাপ্পি। তিনি আরোও অভিযোগ করে বলেন, এই চক্রের সদস্যরা এবার ১০ লক্ষ টাকার বিনিময় রাজীব আহসান পাসপোর্ট অফিসের দালাল ও ঘরজামাইকে দিয়ে কমিটি দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এজেন্ডা বাস্ত বায়ন করছে। প্রসঙ্গত: রবিবার রাতে ঘোষিত কমিটির মহানগর শাখায় সভাপতি করা হয়েছে রেজাউল করিম রনিকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে হুমায়ন কবিরকে। পাশাপাশি জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে দালাল হিসাবে খ্যাত মাহফুজুল আলম মিঠুকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কামরুল হাসানকে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয় প্রধান কার্যালয়

মারীয়া কমপ্লেক্স, কাশিপুর বাজার, বরিশাল ।

মোবাইলঃ ০১৭১৬৬০৫৯৭১, ০১৫১১০৩৬৮০৯,০১৯১১১৭০৮৮৪

মেইলঃ barishalerprohor.news.bd@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ
Web Design & Developed By
ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক

প্রতিষ্ঠাতা :
মোঃ নাছিম শরীফ


উপদেষ্টা: খালিদ মাহমুদ

মেইলঃ barishaler.prohor@yahoo.com
  • মোবাইলঃ ০১৭১১০৩৬৮০৯, ০১৯১৯০৩৬৮০৯
    • সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমুন নাহার
    • ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মোঃ রাসেল আকন
    • নির্বাহী সম্পাদক: কাজী সজল
    • বার্তা প্রধানঃ মোঃ আল আমিন হোসেন
    ডেইলি বরিশালের প্রহর কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।