DailyBarishalerProhor.Com | logo

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে সাংবাদিক সুমনের কব্জায় যাত্রীরা

প্রকাশিত : অক্টোবর ২১, ২০১৯, ১৯:২১

মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে সাংবাদিক সুমনের কব্জায় যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে থেমে নেই সেই ভয়নক দুর্নীতি ও লাঞ্চিকরণের মত ঘটনা। সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে শিক্ষক থেকে সুশীল সমাজকে লাঞ্চিতকরণ। বছরের পর বছর মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে খেয়া ও ফেরী পারাপারে সরকারী নির্ধারিত টোলের চেয়ে আদায় করে আসছে অতিরিক্ত অর্থ। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে অর্থ দণ্ড ও সাজাও দেয়া হয় টোল আদায়কারীদের।

কিছুদিন স্বাভাবিক ভাবে চললেও আবারো শুরু হয় অতিরিক্ত টোল আদায় ও যাত্রী হয়রানি। বেড়েছে দুর্নীতি ও লাঞ্চিতের মত ঘটনা! সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে শিক্ষক থেকে শুরু করে সুশীল সমাজ লাঞ্চিতকরণ। সংবাদকর্মীরাও অদৃশ্য কারণে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত আছেন।

সাংবাদিকদের অনুসন্ধান বলছে উক্ত অনিয়মের প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৩ নভেম্বর বরিশাল জেলা প্রশাসনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে সরকারী নিয়মিত ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফেরি চলাচল ও যাত্রী পারাপারের নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় উল্লেখ আরো উল্লেখ করা হয় মীরগঞ্জ ঘাটে ফেরি পারাপারে যানবাহন থেকে কয়েকগুণ বেশি টোল আদায়ের ফলে দ্রব্যমূল্যে প্রভাব পড়ছে।

ইজারাদারের ইচ্ছামতো ফেরি ও খেয়া পরিচালনা এবং বিকাল ৫ টার পর ইজারাদারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে বলে অভিযোগ উঠে। যানবাহন ও সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করার লক্ষ্যে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফেরি চলাচলের সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সময়সূচির মধ্যে বাবুগঞ্জ প্রান্ত থেকে সকাল ৮টা, বেলা ১১টা,বেলা ২টা ও বিকাল ৫টা এবং মুলাদী প্রান্ত থেকে সকাল সাড়ে ৯টা, বেলা ১২টা, সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ফেরি ছাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়।

পাশাপাশি ফেরিঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায় রোধ ও যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে পর্যাপ্ত মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার নির্দেশনা দেন বরিশাল জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি বছরের জুন মাসের ১ তারিখ (শনিবার) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজিত হালদার। এসময় ইউএনও সুজিত হালদার জানান, মীরগঞ্জ খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারে জনপ্রতি ৬ টাকা ভাড়ার স্থলে ১০ টাকা ও মোটর সাইকেলে ১৬ টাকার স্থলে ৩০ টাকা আদায় করা হচ্ছিলো। এছাড়া ফেরীতে ১০০ টাকার গাড়ি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অতিরিক্ত টোল ও ভাড়া আদায়কালে দুই জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত খেয়া পাড়াপারে অতিরিক্ত টোল আদায়ের দায়ে জেলা পরিষদের কেয়ারটেকার ওয়াহিদুজ্জামানকে ১৫ দিনের এবং ফেরীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ইজারাদারের প্রতিনিধি মীরগঞ্জের বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলামকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। দন্ড ঘোষণার পরপরই তাদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দণ্ড দেয়ার পরের দিন টোলঘর বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ অথাৎ পশ্চিম পাড় থেকে মুলাদী পূর্ব পাড় সরিয়ে টোল আদায়ের ঘর বসানো হয়। দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে রহস্যজনক ভাবে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয় মুলাদী প্রেসক্লাবের নেতা আলমগীর হোসেন সুমন ঢ়ারীর কাছে।

প্রেসক্লাব এর এই নেতার বক্তব্য তিনি টোল আদায় সর্ম্পকে পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা নেই। দায়ীত্বে নিয়ে তিনি ভুল করেছেন, তার পক্ষে এ কাজ সম্ভব না বলে দাবী করেন। কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন, টোল আদায় করতে গিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অর্থ খরচ করতে হচ্ছে পাশাপাশী যাদের মাধ্যমে টোল উত্তোলন করছেন, তারা বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন। ইতিপূর্বে ৩/৪টি গ্র“প সরিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে আব্বাস গ্র“কে দিয়ে টোল আদায় করছেন। আগের চেয়ে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয় জানতে চাইলে মুলাদী প্রেসক্লাবের নেতা আলমগীর হোসেন সুমন ঢ়ারী অস্বিকার করে বলছেন, টোল পূর্বের মতই আদায় করা হচ্ছে, তবে তার চেয়ে বেশী আদায় করা হলে আমি বিষয়টি দেখবো। প্রশ্ন হচ্ছে পূর্বের নিয়মে অর্থাৎ যে অপরাধে ২জনকে সাজা দেয়া হয়েছে ওই একই নিয়মে বর্তমানে টোল আদায় করছেন সুমন ঢ়ারী।

একাধিক যাত্রীদের অভিযোগ গত ৩ মাস পূর্বে যাত্রী পারাপারে জনপ্রতি ৬ টাকা ভাড়ার স্থলে ১০ টাকা নেয়া হতো, বর্তমানে তা ১৫ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয় ও মোটর সাইকেলে ১৬ টাকার ভাড়া স্থালে ৩০ টাকা নেয়া হতো, বর্তমানে ৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। এছাড়া ফেরীতে ১০০ টাকার গাড়ি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকা নেয়া হতো বর্তমানে ২২শ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, ঘাটটি মূলত বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর আওতায়ধীন।

এরপরেও সাম্প্রতিক কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন, ইউএনও জাকির হোসেন। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিত হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মীরগঞ্জ ফেরীঘাট বরিশাল জেলা পরিষদের তত্বাবাধয়নে। তবে জনগণের সার্থে ফেরীঘাটে ইজারাদাররা সরকারী নির্দেশ অমান্য করলে সে বিষয় আইননুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয় প্রধান কার্যালয়

মারীয়া কমপ্লেক্স, কাশিপুর বাজার, বরিশাল ।

মোবাইলঃ ০১৭১৬৬০৫৯৭১, ০১৫১১০৩৬৮০৯,০১৯১১১৭০৮৮৪

মেইলঃ barishalerprohor.news.bd@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ
Web Design & Developed By
ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক

প্রতিষ্ঠাতা :
মোঃ নাছিম শরীফ


উপদেষ্টা: খালিদ মাহমুদ

মেইলঃ barishaler.prohor@yahoo.com
  • মোবাইলঃ ০১৭১১০৩৬৮০৯, ০১৯১৯০৩৬৮০৯
    • সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমুন নাহার
    • ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মোঃ রাসেল আকন
    • নির্বাহী সম্পাদক: কাজী সজল
    • বার্তা প্রধানঃ মোঃ আল আমিন হোসেন
    ডেইলি বরিশালের প্রহর কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।