বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী হেনা আক্তার আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তিনি স্বামী নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগের সঙ্গে এক সন্তান নিয়ে নগরের অক্সফোর্ড মিশন রোডে বাস করতেন। পরিবার থেকে হেনা আত্মহত্যা করেছে বলা হলেও এ নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হেনা আক্তার (৩০) মৃত্যুবরণ করেন।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত রহমান হাসান জানান, ‘সোমবার দিবাগত রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেন হেনা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে তার মৃত্যু হয়।’
স্থানীয় নানা সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগের সঙ্গে বিয়ের আগে বিএম কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন হেনা।
এসআই আরাফাত হাসান বলেন, ‘নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে হেনা আত্মহত্যা করেছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি-না সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।’
তিনি আরো বলেন, হেনার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য শেবাচিমের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আপাতত এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।