বগুড়া পুলিশের অভিযানে কুড়িগ্রাম থেকে জেএমবির সামরিক শাখার দুই নেতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল, অতিরিক্ত একটি ম্যাগজিন ও অন্তত ৩০টি শক্তিশালী গ্রেনেড তৈরির কাঁচামাল পাওয়া গেছে।
গ্রেফতার জঙ্গিরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার ঢুসমারা উপজেলার দিয়ারার চর কৌনাইছাপাড়া গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে ইছাবা শাখা (সামরিক) প্রধান তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তোতা মিয়া (৩০), একই গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে জেএমবির কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর ও ঢুসমারা উপজেলার ইছাবা শাখার দায়িত্বশীল রফিকুল ইসলাম (৩০) এবং ঢুসমারা উপজেলার দিয়ারার চর মুন্সিপাড়ার মৃত আবদুস সামাদ আকন্দের ছেলে আবদুল হামিদ (৬০)। পলাতক জঙ্গিরা হলেন- জেএমবির রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দাওয়াহ শাখা প্রধান ফুয়াদ ওরফে নিয়াজ (৩২), ইছাবা সদস্য মেরাজ, তোহা ওরফে খয়রুল, কামরুল ও আমিন।
শনিবার দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা তার কার্যালয়ের এক প্রেসবিফ্রিং-এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে ঢুসমারা উপজেলার দিয়ারার চর কৌনাইছাপাড়া গ্রামে একটি জঙ্গির বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জঙ্গিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় ধরনের কোনো নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। জঙ্গিদের অস্ত্রসহ কুড়িগ্রামের ঢুসমারা থানায় সোপর্দ ও মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ সময় ৫ জঙ্গি পালিয়ে গেছে। পলাতক জঙ্গিদের গ্রেফতার ও আরও অস্ত্রের সন্ধান পেতে এদের কুড়িগ্রাম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
প্রেস বিফ্রিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৯ জুলাই রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা নদীর দূর্গম চর বাগডহড়া থেকে একে ২২ রাউফেল ও বিভিন্ন অস্ত্রসহ জেএমবির ৪ শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। চার দিনের রিমান্ডে তারা উল্লিখিত জঙ্গিদের সন্ধান দেয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ইনটেলিজেন্স শাখা ও বগুড়া ডিবি পুলিশ যৌথভাবে শুক্রবার রাত সোয়া ১টার দিকে কুড়িগ্রামের ঢুসমারা উপজেলার দিয়ারার চর কৌনাইছাপাড়া গ্রামে জঙ্গি রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ওই বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলাম ছাড়াও তোতা মিয়া, আবদুল হামিদকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গি নিয়াজ, মেরাজ, খয়রুল, কামরুল ও আমিন পালিয়ে যায়।
তোতার কাছে ৭.৬৫ ক্যালিবারের একটি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগজিন, রফিকুল ইসলামের ঘরের খাটের নিচ থেকে কাঁচের বোতলে থাকা ৫০০ মিলিলিটার সালফিউরিক এসিড, প্লাস্টিকের কৌটায় থাকা ৫০০ গ্রাম বিস্ফোরক সোডিয়াম নাইট্রেট পিউরিফাইড এবং অপর প্লাস্টিকের কৌটায় থাকা ৫০০ গ্রাম ইমপ্লুরা লেড নাইট্রেট পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গিরা জানিয়েছে, বড় ধরনের কোনো নাশকতার জন্য তারা জঙ্গি রফিকুল ইসলামের বাড়িতে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। উদ্ধার করা রাসায়নিকদ্রব্য দিয়ে অন্তত ৩০টি শক্তিশালী গ্রেনেড তৈরি করা যেত। জঙ্গিদের গ্রেফতার না করলে তারা বড় ধরনের কোন নাশকতা করতো। এদের অর্থের উৎসব পেতে পলাতক শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের গ্রেফতার করতে হবে।
গ্রেফতার জঙ্গিদের ওই থানায় সোপর্দ ও তাদের কুড়িগ্রামের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত