ডেস্ক রিপোর্ট !! বাংলা ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। এর আগে স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে তাঁর লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আনা হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লাশ রাখা হয়।
জুমার নামাজের পর আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা শুরু হয়। জানাজা পড়ান সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিব আবু সালেহ মুহাম্মদ কলিমউল্লাহ।
জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জড়ো হন। তাঁরা কিংবদন্তি শিল্পীর জানাজায় অংশ নেন। প্রচুর জনসমাগমের কারণে জানাজা নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে শুরু হয়।
জানাজার আগে কথা বলেন আইয়ুব বাচ্চুর ছোট ভাই ইরফান ছুট্টু। আইয়ুব বাচ্চুকে এত ভালোবাসার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ইরফান বলেন, ‘বাচ্চু ভাই সব সময় নিজের বাবা ও মাকে সম্মান দিতেন। আপনারা তাঁর জন্য দোয়া করবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাচ্চু ভাইয়ের কাছে কোনো দেনা-পাওনা থাকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। উনার কোনো ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন।’
আগামীকাল শনিবার প্রবাসী দুই সন্তান দেশে ফেরার পর শনিবার চট্টগ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের পাশে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ দাফন করা হবে।আইয়ুব বাচ্চু গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি।
হৃদরোগের কারণে আইয়ুব বাচ্চু গত কয়েক বছর বারবারই হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। ২০০৯ সালে তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়। দুই সপ্তাহ আগে শেষ তিনি স্কয়ার হাসপাতালে এসেছিলেন।
জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। ১৯৭৮ সালে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। আশির দশকে একাধিক একক অ্যালবাম বেরুলেও নব্বইয়ের দশকে ‘ডাবল অ্যালবাম’ দিয়ে এলআরবির যাত্রা শুরু হয়। তখন ব্যান্ডটির নাম ছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরে ব্যান্ডের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’।
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হকার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’, ‘বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। সংগীতজগতে তিনি এবি নামে পরিচিত হলেও তাঁর ডাকনাম ছিল রবিন। এ নামেও তিনি নব্বইয়ের দশকে একক অ্যালবাম বের করেন।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত