DailyBarishalerProhor.Com | logo

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আলোর পথে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১০, ২০১৯, ১০:১৭

আলোর পথে বাংলাদেশ

মো.ওসমান গনি !! সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ।বাংলাদেশের প্রতিটি খাতে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।বিষেশ করে জ্বালানী খাত বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এসেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।তথ্যপ্রযুক্তির যুগে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ।যার জন্য বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেয়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষ এক সময় বিদ্যুৎ কি জিনিস তা জানত না।তারা কোনদিন কল্পনাও করে নাই বিদ্যুৎ গ্রামে আসবে।সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় গ্রামাঞ্চলের মানুষ ও এখন বিদ্যুৎ এর সুবিধা ভোগ করছে।বর্তমানে দেশের শতকরা ৯০জন মানুষ বিদ্যুৎ এর আওতায় চলে এসেছে।আর বাকী জনগোষ্ঠিকে অতি দ্রুত বিদ্যুৎ এর আওতায় আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পর বিদ্যুৎ এর যাতে লোডশেডিং না হয় তার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের খাত কে আর শক্তিশালী করার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে যাতে বিদ্যুৎ পেতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার জোড়ালো ভাবে কাজ করছে।বর্তমানে দেশের প্রতিটি গ্রামে সরকারি ভাবে বিদ্যুৎতের নতুন নতুন সংযোগের কাজ চলছে।দেশের প্রতিটি গ্রাম এখন বিদ্যুৎতের আলোতে আলোকিত হয়েছে।বিদ্যুৎ এর সাথে সাথে সরকারি খরচে দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎও বিতরন করা হচ্ছে।যাতে করে বিদ্যুৎ এর ওপর চাপ কমিয়ে আনা যায়।দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন আর অন্ধকার দেখা যায় না।বিদ্যুৎ এর উন্নয়নের সাথে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে মিল-ফ্যাক্টরী।মিল-ফ্যাক্টরী হওয়ার কারনে এগুলোতে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।আর কমতে শুরু করেছে দেশের বেকারত্বের হার।বিদ্যুৎ সংযোগ মফস্বল এলাকায় দেওয়াতে সবচেয়ে বেশী উন্নত হয়েছে মিডিয়া বা গণমাধ্যমের।এখন দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায় হতেও নিয়মিত সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে।ঢাকার বড় বড় জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংবাদপত্র প্রকাশ করছে।দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার একটি পূর্বশর্ত হচ্ছে সরকারের দীর্ঘস্থায়িত্ব। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে।দেশের সরকার প্রধান যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে দেশের উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত থাকে।কিন্তু যখন সরকারের পরিবর্তন হয় তখন সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে যায়। থমকে যায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। সম্ভবত সে কারণেই দেশের অনেকেই মনে করেন, একটি সরকার ক্ষমতায় দীর্ঘ সময় থাকতে পারলে দেশের প্রায় প্রত্যেক নাগরিকের দেহ ও মনে অনুভব করতে পারে উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি ঘটনাই এর সত্যতা প্রমাণে সক্ষম হয়েছে। গত ৯ বছরে আমাদের বিদ্যুৎ সক্ষমতা বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার মেগাওয়াট। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে পেয়েছিল মাত্র ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। একই সময় গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখ থেকে বেড়ে ৩ কোটি ছাড়িয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
একটি কথা না বললেই নয় যে, একসময় দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। এখান থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয় ১৯৯৬ সালে। এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট। পরবর্তী সাত বছরে উৎপাদন কমতে থাকে। ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কর্মসূচি গ্রহণ করে; যা এখন ২০ হাজার মেগাওয়াটে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা। বর্তমানে যা ৪৬৪ কিলোওয়াট-ঘণ্টায় উন্নীত হয়েছে। গত ৯ বছরে বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনসমষ্টির সংখ্যা ৪৭ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এর পরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য আমাদের আরো বিদ্যুতের প্রয়োজন। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার, ৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার এবং ৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপাদনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি।’
বিদ্যুৎ সেক্টরের ধারাবাহিক এ সাফল্যের প্রশংসা করেই বলতে হয়, বিগত ৯ বছরে বিদ্যুৎ সেক্টরের সঞ্চালন লাইন আট হাজার কিলোমিটার থেকে ১১ হাজার ১২২ সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে। বিতরণ লাইন ২ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার হতে ৪ লাখ ৫৭ হাজার কিলোতে উন্নীত হয়েছে। সিস্টেম লসকে ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে আনা হয়েছে ১১ দশমিক ৪০ শতাংশে। একই সঙ্গে আরো একটি কথা না বললেই নয় যে, ইতোমধ্যেই সারা দেশে ৫৩ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করার মাধ্যমে প্রায় ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বিষয়টি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
আমরা মনে করি, দেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন হলে তার ছোঁয়া প্রতিটি সেক্টরে প্রতিফলিত হবে এবং তা হচ্ছে; যা ধীরে ধীরে সমাজের সবস্তরকেই স্পর্শ করেছে। আমাদের বিশ্বাস, এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনের কোনো একসময়ে আলোর ঝর্ণাধারায় উদ্ভাসিত হবে বাংলাদেশ।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয় প্রধান কার্যালয়

মারীয়া কমপ্লেক্স, কাশিপুর বাজার, বরিশাল ।

মোবাইলঃ ০১৭১৬৬০৫৯৭১, ০১৫১১০৩৬৮০৯,০১৯১১১৭০৮৮৪

মেইলঃ barishalerprohor.news.bd@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ
Web Design & Developed By
ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক

প্রতিষ্ঠাতা :
মোঃ নাছিম শরীফ


উপদেষ্টা: খালিদ মাহমুদ

মেইলঃ barishaler.prohor@yahoo.com
  • মোবাইলঃ ০১৭১১০৩৬৮০৯, ০১৯১৯০৩৬৮০৯
    • সম্পাদক ও প্রকাশক : নাজমুন নাহার
    • ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মোঃ রাসেল আকন
    • নির্বাহী সম্পাদক: কাজী সজল
    • বার্তা প্রধানঃ মোঃ আল আমিন হোসেন
    ডেইলি বরিশালের প্রহর কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।