নিজস্ব প্রতিবেদক!! চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দিঘির পশ্চিম পাড়ে আগুনে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি মন্দিরসহ বস্তির অন্তত ১৩টি ঘর পুড়ে গেছে। এসময় ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মন্দিরের ক্যাশিয়ারের মৃত্যু ঘটেছে। তার নাম অরুণ চক্রবর্তী (৭০)। তিনি লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরের হিসাবরক্ষক। তবে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষসহ বস্তির বাসিন্দারা নিরাপদে বের হতে পেরেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর সাড়ে ৯ টার দিকে আগুন নির্বাপণ হয়।
ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন জানান, আসকারদিঘির পশ্চিম পাড়ে লোকনাথ মন্দির ও আশপাশের কাঁচা ঘরে আগুন লাগে। আগুন লাগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে। ৪৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। সম্পূর্ণ নির্বাপিত হয় রাত ৯টা ১০ মিনিটে। অগ্নিকা-ের কারণ এখনো অজানা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনের কাজ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বিষু রায় চৌধুরী জানান, মন্দিরের ভেতরের কাঁচাঘরগুলোতে আগুনের ঘটনায় সবগুলো ঘরই সম্পূর্ন ভস্মীভুত হয়ে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়ে যায় ১৩টি পরিবার। সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুন লাগার পর মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে যায় কাঁচাঘরগুলোতে। আসে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। আগুনের লেলিহান শিখা লাগে মন্দিরের দেয়ালেও। তবে মন্দিরের কোন ক্ষতি হয়নি। এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অরুণ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে তার পরিবারের সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অরুণ চক্রবর্তীকে হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছিল।
অগ্নিকান্ডের সংবাদ শুনে সেখানে ছুটে যান পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাইন হোসেন ও স্থানীয় কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনসহ অন্যান্যরা।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানিয়েছেন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরের হিসাবরক্ষক অরুণ চক্রবর্তী (৭০)। মন্দিরে আগুন লাগার পর ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে গেলে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে মন্দিরের মূল অংশ অক্ষত আছে বলেও জানান ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মন্দিরে উপাসনা করতে যাবার পথে মূল গেট সংলগ্ন ডানদিকের দুটি কাঁচা ঘর থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখি। তখন মন্দিরের ভেতরে কীর্তন চলছিল। এ সময় স্থানীরা সেখানে জড়ো হয়ে চিৎকার শুরু করেন। মূল ফটকের সামনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে মন্দিরে আসা লোকজন এবং বস্তির বাসিন্দারা আটকে পড়েন। কেউ কেউ ঘরের বেড়া ভেঙে বেরিয়ে আসেন। আগুনের উৎস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। কেউ বলেছেন গ্যাসের লাইন থেকে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়েছে। তবে অগ্নিকা-ের পরপর অনেকেই দিঘিতে লাফ দিয়ে পড়েন। দিঘির ভিতরে একটি নৌকা বাঁধা ছিল। ওই নৌকা দিয়েও কেউ কেউ নিরাপদে চলে যান।
মন্দিরের পুরোহিত বিপুল চক্রবর্তী বলেন, আধাপাকা মন্দিরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একাধিক সদস্য জানান, তাদের সবকিছু পুড়ে গেছে। নিজের প্রাণটা ছাড়া আর কিছুই রক্ষা করা যায়নি।
‘ঘুষ দুর্নীতির প্রমান পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না —বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান’
প্রতিষ্ঠাতা: আল আমিন,বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-......বিস্তারিত