বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনায় থানা পুলিশের চৌকস প্রচেষ্টায় চেতনা নাশক প্রয়োগকারী প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টায় বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ঢলুয়া এলাকা থেকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহয়তায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঢলুয়া গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম খানের পুত্র মো: মামুন খান (৪৫) ও মোঃ রাজ্জাকের পুত্র মো: রাব্বি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই প্রতারক চক্রটি প্রতিনিয়ত প্রতারণার মাধ্যমে লঞ্চ, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের অচেতন করে সর্বস্ব লুটে নেয়। প্রায় আটমাস পূর্বে বরগুনা থানাধীন পুরাকাটা ফেরিঘাটের নিকটবর্তী স্থানে যাত্রীবেশে ইজি বাইকে উঠে ড্রাইভারকে চেতনানাশক ঔষধের (কথিত শয়তানের নিঃশ্বাস) মাধ্যমে অবচেতন করে ড্রাইভারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে তার নিকট আত্মীয় স্বজনদের কাছে প্রতারকরা কল করে তারা নিজেদেরকে ডিবি পরিচয় দেয়। এবং ড্রাইভার তাদের হাতে আটক রয়েছে বলে জানায়। তারা ড্রাইভারের আত্মীয় স্বজনদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে।
পরবর্তীতে এ সংক্রান্তে বরগুনা থানায় মামলা রুজু করা হয়। এ মামলার সাথে জড়িত দুজনকে শনিবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি দ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও ইতঃপূর্বে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আরো একজন আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, চেতনানাশক ঔষধের (কথিত শয়তানের নিঃশ্বাস) মাধ্যমে অবচেতন করে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে স্বজনদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করার অপরাধে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি দ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
‘‘দোষ-ত্রুটি ভুলে যাওয়ার পরেও যারা সংশোধন হচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ : হাসান মামুন’
প্রতিষ্ঠাতা: মোঃ রিয়াদ হোসাইন , গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি !! ‘বিগত সরকারের......বিস্তারিত